॥আমিরাত থেকে ওবায়দুল হক মানিক॥ বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট গুলোতে কনট্রাক বাণিজ্য ও হয়রানী বন্ধের দাবীতে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই এর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
গত ৩০শে নভেম্বর দুপুরে অ্যাসোসিয়েশন আহবায়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও সদস্য-সচিব হাবিবুর রহমান টিপুর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর প্রদান করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশীদের চাকুরী গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে ভিজিট ভিসায় গমনকারীরা নানাভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে।
তারা বলেন ইমিগ্রেশনের কর্তৃপক্ষের কারণে বিদেশগামী যাত্রী এবং ট্রাভেল এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের শ্রমবাজার। তাই অবিলম্বে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনে অনিয়ম ও হয়রানী বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই নেতারা। হয়রানী বন্ধের দাবীতে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।
তারা আরো বলেন, ২০১২ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশীদের জন্য শ্রমিক ভিসা বন্ধ থাকলেও করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সম্প্রতি শ্রমিক ভিসা ট্রান্সফার ও ভিজিটে আসা ব্যক্তিদের শ্রমিক ভিসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে আরব আমিরাত সরকার। এমন সময় ইমিগ্রেশনে ভিজিট ভিসাধারীদের নানাভাবে হয়রানি করায় এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারছে না তারা। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই এর নেতৃবৃন্দ।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের শ্রম বাজার বন্ধ থাকায় শ্রমিক সংকটে ভুগছিলো দেশটিতে বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরা। ভিজিট ভিসায় গমনকারীদের শ্রমিক ভিসা করার সুযোগ করে দেয়ায় সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে যাচ্ছিলেন অনেকেই। অনেকে নতুন করে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু বাংলাদেশী ইমিগ্রেশনে হয়রানীর কারণে সৃষ্ট সংকটে হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। সংকট সমাধানে তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই ও তাকের এশিয়া ট্রাভেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য-সচিব ও টিপু ট্রাভেলস এলএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান টিপু, ট্যুর কেয়ার ট্রাভেলস-এর ব্যবস্থপনা পরিচালক মোঃ হারুন, আবেদ ট্রাভেলস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আকবর, হেলমার্ক ট্রাভেলস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিলুর কাউম, মোঃ আরিফ, ইকবাল সরোয়ার, মোঃ সাজ্জাদ, মোঃ মাসুদ, মোঃ মাসুদ, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ইউছুফ জামিল, পারভেজ আহম্মেদ, আকবর হোসেন, মোঃ আলী, আলী হোসেন, মোহায়মেনুল ইসলাম, আরিফ উদ্দিন, মাসুদ পারভেজ, তোজাম্মেল হোসেন, মাসুদুর রহমান, শাহিন আহাম্মেদ, সাজ্জাদ হোসেন, মোঃ সাহদাত হোসেন, আলী আকবর ও মোহাম্মদ হোসেনসহ বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টের নেতৃবৃন্দ।