মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

চীনা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে সরকার

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বাংলাদেশ সরকার চীনা কোম্পানী সায়নোভ্যাক প্রস্তুতকৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ট্রায়াল বাংলাদেশে প্রয়োগ করার অনুমোদন দিয়েছে।
গত ২৭শে আগস্ট সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভ্যাকসিন ট্রায়াল ও তার অগ্রগতি সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সংবাদ কর্মীদের ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানিয়েছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভারতসহ অন্য কোনো দেশ আগ্রহ দেখালে সরকার তার কার্যকারিতা যাচাই করে অনুমোদন দেবার ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকবে। এর আগে চায়না কোম্পানী সায়নোভ্যাক দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিতে আইসিডিডিআরবি-এর মাধ্যমে যে আবেদন করেছিল সেটির কার্যকারিতা নিয়ে সরকারের নানাবিধ বিশ্লেষণ শেষে চায়না কোম্পানীটিকে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হলো। ’
ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন প্রদান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের এই কোম্পানীটি গত কয়েক মাস থেকেই আইসিডিডিআর,বি এর মাধ্যমে ট্রায়ালের ব্যাপারে আমাদেরকে অনুরোধ করে আসছিল। সরকার তাদের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সব ধরণের যাচাই-বাছাই করেছে। কোম্পানীটি ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় ট্রায়াল শুরু করেছে। তুরস্কসহ বেশ কিছু দেশে ট্রায়াল শুরুর পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তারা(চায়না কোম্পানী) পছন্দের শীর্ষে রেখেছে শুরু থেকেই। বাংলাদেশ এই ট্রায়ালে অংশ নিলে এক লাখ পিস টিকা সামগ্রী ফ্রি লাভ করার পাশাপাশি আরো প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন ক্রয় করতে অগ্রাধিকার পাবে বলে সরকার মনে করছে। তা ছাড়া চীন সরকারের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। সবকিছু বিবেচনা করেই চায়না ভ্যাকসিন কোম্পানীটিকে ট্রায়ালে অংশ নেবার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
অন্য কোনো দেশের ট্রায়াল বাংলাদেশে হবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশে^র ৮টি কোম্পানী ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানীগুলো বাংলাদেশে ট্রায়ালের আগ্রহ দেখালে বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে।
ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগ্রহ কতটুকু এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে মাথাপিছু আয়ের অনুপাতে কিছু ভ্যাকসিন ফ্রি পাবে। তবে সরকার কেবল ফ্রি ভ্যাকসিন পেতেই বসে থাকবে না। সরকার ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবে না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান, আইডিসিআরবি’র পরিচালক, ইপিআই-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফিরদৌসি কাদেরী, ড. খালিকুজ্জামান, ড. তাজুল ইসলাম বারী প্রমূখ।
সভায় অনলাইন ‘জুম’ এর মাধ্যমে অংশ নেন চায়না রাষ্ট্রদূত লি কিমিং।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!