Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে ২দিনের অভিযানে ৩০টি অবৈধ ড্রেজার ধ্বংস॥থানায় মামলা

॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ গোয়ালন্দের মরা পদ্মা নদীতে ২দিনের সাড়াশি অভিযানে ৩০টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও লক্ষাধিক ফুট পাইপ ধ্বংস করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অবৈধ ড্রেজিং মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক বাকপ্রতিবন্ধী ক্ষতিগ্রস্তের স্ত্রী।

গত ৩রা মে জাতীয় এবং স্থানীয় অনলাইনে ‘গোয়ালন্দে অবৈধ ড্রেজিংয়ে বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় ও স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়। এরপর গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন মরা পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ক্যানাল থেকে উজানচর কামারডাঙ্গী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিঃ মিঃ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও অসংখ্য পাইপ ধ্বংস এবং জব্দ করে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অবৈধ ড্রেজিং চক্রের মধ্যে ৮জনের নাম উল্লেখ করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ মজিবর মন্ডলের স্ত্রী মোছাঃ নাছিমা বেগম। আসামীরা হলো ঃ সালাম(৪৫), সুমন(৪০), উম্বার কাজী(৬০), গিয়াস(৪০), কুদ্দুস মাঝি(৬০), সোরাপ(৬৫), সহিদ(৪৫), মোঃ রবিউল (৩০)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রবিউল্লাহ বেপারী পাড়া এলাকায় নদীর তীরবর্তী তাদের অন্তত ৫ বিঘা ফসলী জমি অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে আমাদের অন্তত ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ নিয়ে তাদের বাঁধা দিতে আসলে ড্রেজার মালিক ও তাদের লোকজন আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখায়।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ আশিকুর রহমান জানান, নাছিমা বেগমদের জমি যে ড্রেজারের কারণে নদীতে বিলীন হয়েছে আমরা অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে সেখানকার দুটি ড্রেজার জব্দ করেছি। এছাড়া এজাহার ভুক্ত আসামীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

গোয়ালন্দের সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।