॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় করোনা সংকট মোকাবেলায় চলমান লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসনের সাথে মাঠে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল বুধবার করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা অমান্য করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও এসিল্যান্ড নুজহাত তাসনীম আওন-এর নেতৃত্বে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত ১৭হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় করেছেন। অর্থদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে কয়েকজন মোটর সাইকেল চালক ও দোকানী।
জানা যায়, ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ জনকে ৯হাজার টাকা এবং এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনীম আওনের নেতৃত্বে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ জনকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ক্যাপ্টেন সোহানূরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল এবং পাংশা মডেল থানার এস.আই হুমায়ুন রেজার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পাংশা শহরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
এছাড়াও বেশী দামে আদা বিক্রি করায় পাংশা বাজারের তোতা স্টোর নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে উপজেলাবাসীকে অবশ্যই লকডাউন মেনে চলতে হবে। নইলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত ঃ গত সোমবার ২৯ জনকে ৩০ হাজার ৩শত টাকা এবং গত মঙ্গলবার ৩১ জনকে ১ লাখ ২৪ হাজার ২শত টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।