॥মোখছেুর রহমান॥ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলা বিএনপির আয়োজনে গতকাল ১৭ই জুন উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও কালুখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ মোসলেম উদ্দিন মিয়ার পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ নাসিরুল হক সাবু, পাংশা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পাংশা বিশ^বিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহমুদুল হক রোজেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সামছুল আলম আকুল, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ইসলামপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ও বালিয়াকান্দি সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মশিউল আজম চুন্নু প্রমুখ।
এ সময় কালুখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক শাহজাহান আলী মাস্টার, পাংশা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান রাজা, রতনদিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মন্ডল, কালুখালী উপজেলা যুবদলের সভাপতি জিল¬ুর রহমান, তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, ব্যবসায়ী হাজী ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহাদত হোসেন সাইফুল, যুবদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান, কামরুজ্জামান কামাল, মোঃ আলম ও ছাত্রদল নেতা রকিবুল ইসলাম রকিসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ নাসিরুল হক সাবু বলেন, বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ এখন অচলের পথে। বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোন অবস্থাতেই আগামী নির্বাচন হবে না। সে জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে।
কালুখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এডঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, আগামী নির্বাচন একটি সহায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই। আওয়ামী লীগ যতোই টালবাহানা করুক না কেন দেশের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ একটি নির্বাচিত সরকার চায়। দেশের মানুষের ভাগ্য দিয়ে এই অনির্বাচিত সরকার তামাশা করছে কিন্তু সাধারণ মানুষ আর তা মেনে নেবে না। তিনি ঈদের পরে বিএনপির যে সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে হবে তাতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশগ্রহণের এবং মাহে রমজানের শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে লাগানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।
ইফতার মাহফিলের পূর্বে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের গুম-খুনের শিকার হওয়া নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করাসহ দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।