রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীর খানখানাপুরে টিসিবি’র পণ্য বিক্রিত ব্যাপক অনিয়ম করে চলেছে ডিলার॥মানুষ পণ্য পাচ্ছে না

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০

॥রফিকুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর বাজারস্থ টিসিবি’র ডিলার আজাদ হোসেন সরকারী ভর্তুকির পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়ম করে চলেছে।

টিসিবি’র গুদাম থেকে যথারীতি তেল, ডাল, ছোলা, চিনিসহ বিভিন্ন পণ্য উত্তোলন করে খানখানাপুর বাজারের মেসার্স আজাদ ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানের কথিত গুদামে এনে মজুদ করে ফ্রি-স্টাইলে সেগুলো খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যেও সে টিসিবি’র পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি না করে খোলা বাজারে বিক্রি করছে। স্থানীয় লোকজন প্রতিনিয়ত তার দোকানে গেলেও সে তেল ও ডালের মতো জরুরী ও মূল্যবান পণ্যগুলো দিচ্ছেই না। কিছু মানুষের কাছে লোক দেখানোভাবে কখনো কখনো অল্প পরিমাণে ছোলা ও চিনি বিক্রি করছে।

গতকাল ১৮ই এপ্রিল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খানখানাপুর বাজারস্থ আজাদ ট্রেডার্সের টিসিবি’র পণ্যের গুদাম হিসেবে ডিলার আজাদ হোসেনের মামা আব্দুল মজিদ ওরফে টুলু মল্লিকের বাজার সংলগ্ন ভিতর দিকের বড় একটি ঘর ব্যবহার করে সেখান থেকে জনপ্রতি ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি করে ছোলা ও ৫০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি করে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে। কেউ তেল ও ডালের কথা বললে তাদেরকে বলা হচ্ছে- সেগুলো নেই। অথচ বিশালাকৃতির ওই ঘরের মধ্যেই একপাশে কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে বিপুল পরিমাণ পুষ্টি সয়াবিন তেলের বোতল মজুদ করে রাখা হয়েছে। সেগুলোর কার্টনগুলো পর্যন্ত খোলা হয়নি। একইভাবে অনেকগুলো ডালের বস্তার মজুদও রয়েছে। কিন্তু সেগুলো কাউকে দেয়া হচ্ছে না।

পণ্য ক্রয়ের জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষমান কয়েকজন সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কয়েকদিন এসেও তারা পণ্য পাননি। ‘পরে দেয়া হবে’ বলে তাদেরকে শুধু ঘুরানো হচ্ছে। তেল ও ডাল কাউকে দেয়া হয় না।

এ ব্যাপারে ডিলার আজাদ হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ভাই মাসুদ রানা দাবী করেন, টিসিবি’র পণ্য বিক্রিতে তারা কোন অনিয়ম করছেন না। তদারককারী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করছেন। তেল ও ডাল মজুদ থাকতেও না দেয়ার কারণ হচ্ছে সেগুলো ইউনিয়নে ইউনিয়নে ‘ট্রাক সেল’-এর মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খান বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ডিলারকে প্রতিটি পণ্যই বিক্রি করতে হবে। সেখানে যদি কোন অনিয়ম হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

খানখানাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির আলী মোল্লা বলেন, টিসিবি’র পণ্য বিক্রির ব্যাপারে অনেকেই তার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি ডিলার ও তার লোকজনের সাথে এলাকাবাসীর মারামারিও হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেছি। কিন্তু তাতেও সমস্যা দূর হয়নি। অনিয়মতো হচ্ছেই। নিয়ম হলো টিসিবির পণ্য বিক্রির পূর্বে মাইকিং করে জনগণকে অবহিত করা। কিন্তু তা না করে ডিলার তার ইচ্ছামাফিক কিছু কিছু পণ্য বিক্রি করছে। এর ফলে সরকারের ভর্তুকি দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির এই সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!