॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস)-এর কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এ ঋণের জরুরী সহায়তার প্রথম ধাপ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
গতকাল শনিবার বিশ্ব ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই জরুরী সহায়তার মাধ্যমে কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস)-এর রোগী শনাক্তকরণ, মহামারিকে প্রতিরোধ, কিভাবে তারা আক্রান্ত হয়েছেন, তার অনুসন্ধান, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপনে ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, করোনা ভাইরাস প্রসারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব রোধে বাংলাদেশের জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। পাশাপাশি এটি নজরদারি এবং ডায়াগনস্টিক সিস্টেমগুলো রয়েছে কিনা তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া দেশের স্বাস্থ্যবিধি, ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর এবং হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনে জোরালো ভূমিকা রাখেতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে করোনা ভাইরাস কঠিন আঘাত হানতে পারে। কাজেই চলমান সংকট উত্তরণে আঞ্চলিক ও দেশ ভিত্তিক সমাধানে জোর দেয়া হচ্ছে।
প্রকল্পটি দরিদ্রতম দেশগুলোর জন্য বিশ্ব ব্যাংকের তহবিল ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের কোভিড-১৯ ফাস্ট ট্র্যাক সুবিধার মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়। ৫বছর গ্রেস দিয়ে ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।
এদিকে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সংক্ষিপ্ত সময়ে কোভিড-১৯ মোকাবেলা জোরদার করতে ১৪ বিলিয়ন ডলার ফাস্ট-ট্র্যাক প্যাকেজ তৈরি করছে। এতে দেশগুলোতে মহামারীর সময়ে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য অর্থায়ন, নীতি পরামর্শ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মহামারীতে আক্রান্ত এবং চাকরী সংরক্ষণের জন্য বেসরকারী কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করার জন্য ৮ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে আইএফসি। আইবিআরডি এবং আইডিএ স্বাস্থ্য-খাতের জন্য প্রাথমিকভাবে মার্কিন ৬ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করছে। যেহেতু দেশগুলোর আরও বেশি সহায়তার প্রয়োজন, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপ দরিদ্র ও দুর্বলদের সুরক্ষা, ব্যবসায়িক সহায়তা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জোর দিতে ১৫ মাসের মধ্যে আরো ১৬০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করবে।