রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের বাণী

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, জাতীয় শিশু দিবস-২০২০ এবং মুজিববর্ষ উদযাপনের শুভক্ষণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। সেইসাথে সকল শিশুসহ পদ্মাকন্যা রাজবাড়ীবাসীর প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিসংবাদিত নেতা৷ যাঁর সাথে বাঙালির রয়েছে আত্মার সংযোগ, যাঁর কাছে বাঙালি খুঁজে পেয়েছে আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী অবশ্যই এদেশের মানুষের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন থেকে মুজিববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গিয়ে শেষ হবে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে মুজিববর্ষ পালনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সারা বিশ্বে ১৯৩টি দেশে একযোগে মুজিববর্ষ উদযাপিত হবে। যার ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে উপলক্ষ করে মুজিববর্ষ উদযাপন একটি আন্তর্জাতিক মাত্রা পেয়েছে।
মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। জাতির পিতার জন্মের মাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন সৎ ও সাহসী। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতেন। জাতির পিতা তাঁর জীবনের সোনালী সময় বিসর্জন দিয়েছিলেন এই দেশের জন্য; দেশের মানুষের জন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শিশুদের দেশপ্রেমিক, আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পরিচর্যার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম মমতা। তিনি শিশুদের কল্যাণে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ বিধান সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। সেই আদর্শের পথ ধরেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তারই দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল আমাদের মহান স্বাধীনতা। যে দেশটির জন্য তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, যে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের কথা নিয়েই যিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আত্মনিয়োজিত ছিলেন, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘোষিত “মুজিব বর্ষ” বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশতবার্ষিকী, জাতীয় শিশু দিবস-২০২০ ও মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সকল কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজবাড়ীবাসীর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি।
(দিলসাদ বেগম)
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!