॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আজ ২৭শে ফেব্রুয়ারী বিকালে(বাদ জোহর থেকে) রাজবাড়ী শহরের লক্ষ্মীকোল রাজার বাড়ী আল্লা নেওয়াজ খায়রু উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
এই মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে তাফসির করার কথা ছিল বিতর্কিত মাওলানা তারেক মনোয়ারের। দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে ওয়াজ করার কথা ছিল রাজবাড়ীর ভগিরথপুর ডিগ্রী মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের।
ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা এডঃ এম.এ খালেক, ব্যবসায়ী আব্দুল হক, আল্লা নেওয়াজ খায়রু একাডেমীর প্রধান শিক্ষক গাজী আহসান হাবীব এবং ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্রাটের। সভাপতিত্ব করার কথা ছিল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এএফএম শাহজাহানের।
জানা গেছে, এই মাহফিলের অনুমতি চেয়ে আয়োজক কমিটির সভাপতি পৌর কাউন্সিলর এএফএম শাহজাহান জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক গত ৬ই ফেব্রুয়ারী তার আবেদনের বিষয়ে পুলিশী প্রতিবেদনের জন্য পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখায় প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাজবাড়ী থানার ওসি গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী একটি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
একটি সূত্র জানায়, ‘উক্ত ওয়াজ মাহফিলের বক্তা সংক্রান্তে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মাওলানা তারেক মনোয়ার ও মাওলানা সায়েদ আহম্মেদ বিতর্কিত বক্তা এবং বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে তারা উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান করায় লোকজন পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে অবস্থান নিয়েছে। উক্ত ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে এলাকায় ধর্মীয় ভাবাদর্শের কারণে সংঘাত, কলহ, দাঙ্গা-মারামারীর ঘটনাসহ এলাকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ওয়াজ মাহফিলের অনুমতি প্রদান না করার জন্য গতকাল ২৬শে ফেব্রুয়ারী পুলিশ সুপার উক্ত মাহফিল অনুষ্ঠানের অনুমতির না দেওয়ার বিষয়ে মতামতসহ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
পুলিশ সুপারের উক্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গতকাল ২৬শে ফেব্রুয়ারী বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিলসাদ বেগম সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৭শে ফেব্রুয়ারী(আজ) অনুষ্ঠিতব্য ওয়াজ মাহফিলের অনুমতির আবেদন নাকচ করে মাহফিল বন্ধের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিলসাদ বেগম বলেন, ওয়াজ মাহফিলের অনুমতির আবেদন পাওয়ার পর পুলিশের কাছে মতামতসহ প্রতিবেদন চাওয়া হয়। পুলিশী প্রতিবেদনে নেতিবাচক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে অনুমতি না দেয়ার সুপারিশ করা হলে মাহফিল বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।