সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করতে হাইকোর্টের রায়

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

॥খোন্দকার আব্দুল মতিন, Khondaker Abdul Motin॥ আগামী এক মাসের মধ্যে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারীর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল ২৫শে ফেব্রুয়ারী এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ড.বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল(ডিএজি) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
ডিএজি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, আদালত ৭ই মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করে আগামী এক মাসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ আদেশের ফলে ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালিত হবে।
তিনি আরও জানান, আদালত মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তকে ৭ই মার্চের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
এছাড়া ২০০৯ সালের এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ কেন বাস্তবায়ন করা হয়নি, এক মাসের মধ্যে লিখিতভাবে তা ব্যাখ্যা দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাঠ্যবইয়ে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ইতিহাস কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না-তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, ২০১৭ সালের ২০শে নভেম্বর এক রিটের শুনানী নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে মঞ্চ পুনঃ নির্মাণ করে সেখানে তার ভাস্কর্য এবং ৭ই মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রুল গতকাল ২৫শে ফেব্রুয়ারী যথাযথ ( এ্যাবসিলিউট) ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৫ই ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতি বিজড়িত স্থান রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে সরকারের নেয়া পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ ৭ই মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা এবং যে মঞ্চে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চে তার আবক্ষ ভাস্কর্য নির্মাণের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!