॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশায় মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরীর লালসার শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী(১২)। গতকাল ৯ই জুন বিকেলে আদালতে ২২ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে ওই ছাত্রী। এরআগে গত ৮ই জুন ওই ছাত্রীর মামী বাদী হয়ে নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই ছাত্রীর মামী জানান, তার ননদের মেয়ে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইঁজোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে পড়তো। পুইঁজোর বাজারে মামার চায়ের দোকানে মাঝে মধ্যেই সহযোগিতা করতে যেত সে। সেখান থেকেই একই গ্রামের মৃত হাকিম খার ছেলে পুইজোর সিদ্দিকিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী মালেক খা(৫০) তার ওপর কুদৃষ্টি দেয়। বিগত ২০১৬ সালের ২১শে ডিসেম্বর বিকেলে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে নৈশ্য প্রহরী মালেক তাকে ফুঁসলিয়ে মাদ্রাসায় তার থাকার রুমে নিয়ে যায়। সেখানে মালেক তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মালেক একই ভাবে ফুঁসলিয়ে তাকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। পরে তার শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন দেখা দিলে পরিবারের কাছে খুলে বলে ওই ছাত্রী। এ ঘটনার পর তাকে পাংশায় লিজা হেলথ কেয়ার নামে একটি ক্লিনিকে চেক আপ করানো হলে ২৪সপ্তাহ ৩দিনের গর্ভবতীর বিষয়টি ধরা পড়ে।
গতকাল ৯ই জুন বিকেলে ওই ছাত্রীকে আদালতে হাজির করা হলে সে ২২ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। একই সাথে ১৬৪ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে আকাই নামে এক সাক্ষী।
পাংশা থানার এস.আই মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, মেডিকেলে ভিকটিমের ৫মাস ২০দিন গর্ভবতী হওয়ার তথ্য মিলেছে। মামলার এজাহারনামীয় আসামী আব্দুল মালেককে গ্রেপ্তারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।