বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

বোয়ালমারীতে জোড়া খুনের মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকী॥নিহতের পরিবার চরম উৎকণ্ঠায়

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

॥মাহবুব হোসেন পিয়াল॥ ফরিদপুরে সন্ত্রাসী হামলা করে দুই সহোদর ভাইকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারকে অব্যাহতভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় আদালতে মামলা করার পর থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছে। তবে আসামীদের দাপট তাতে কমেনি। ফলে নিহতদের পরিবার ও স্বজনেরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৯ই নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলফাডাঙ্গা বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে খুন হন বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস মোল্যা(৪৮) ও ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি লাভলু মোল্যা(৩৮)। তারা পরস্পর সহোদর ভাই। হত্যাকান্ডের পর নিহতদের ভাই আবুল কাশেম মোল্যা বাদী হয়ে ৩৩জনকে আসামী করে আলফাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ ঘটনার পরপরই সাতজনকে আটক করে ওহিদ ও ইয়াকুব নামে দু’জনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রামদা, রক্তমাখা চাপাতি, লম্বা ছোড়া, চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকে তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। জোড়া খুনের এই ঘটনাটি সে সময়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মামলার ২০ নম্বর আসামী বুদ্ধ মোল্যা(৪০) এখনো পলাতক রয়েছে। অন্যদের মধ্যে প্রথমে কয়েকজন উচ্চ আদালত হতে এবং অন্যরা জেলা জজ আদালত হতে জামিন নেন।
মামলার বাদী আবুল কাশেম মোল্যা জানান, জামিনে বেরিয়ে এসেই আসামীরা তাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় তিনি ১০৭/১১৭ ধারায় আদালতে মামলা করেন। ওই মামলা শেষ হলে প্রধান আসামী কাওসারসহ অন্যরা এসে আবারো তাকে খুন করার হুমকি দেয়। তিনি জিডি করেছেন। এরপর তার ভাই দিদার মোল্যাকেও একইভাবে হুমকি দিলে তিনিও গত ২রা ফেব্রুয়ারী বোয়ালমারী থানায় একটি জিডি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনেই আসামীদের লোকেরা মহড়া দেয়। তারা পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার এস.আই মোজাফফর হোসেন বলেন, আবুল কাশেমের জিডির তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।
নিহত ইদ্রিস মোল্যার বড় কাপড়ের দোকান ও লাভলুর বড় ফার্নিচারের ব্যবসায়ী ছিলো আলফাডাঙ্গা বাজারে। সাগরী(২৬) নামে এক মেয়ে এবং ইয়াসিন (২২) ও ইসমাইল (১৭) নামে দুই ছেলে রয়েছে ইদ্রিস মোল্যার। আর লাভলুর লামিয়া (৫) নামে এক মেয়ে এবং নাইম (১৫) ও সম্রাট(৯) নামে দুই ছেলে রয়েছে। নিহতদের স্ত্রী ও সন্তানসহ স্বজনেরা তাদের নিরাপত্তার পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর এই জোড়া হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!