॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১১৯তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের ‘ওরশ স্পেশাল ট্রেন’ আগামীকাল ১৫ই ফেব্রুয়ারী রাত ১০টায় রাজবাড়ী জেলা শহরের রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ভারতীয় রেলওয়ের সরবরাহকৃত ২৪টি বগি সম্বলিত ওরশ স্পেশাল ট্রেনটিতে ১২২০ জন পুরুষ, ৯৩৩ জন নারী ও ১১০ জন শিশুসহ মোট ২৩২৩ জন ওরশ যাত্রী মেদিনীপুরে গমন করবেন। ওরশ শেষে আগামী ১৯শে ফেব্রুয়ারী রাতে ট্রেনটি রাজবাড়ী ফিরে আসবে। রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া সভাপতি(ট্রেন লিডার) কাজী ইরাদত আলীর নেতৃত্বে ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি মেদিনীপুরে যাবে।
আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে নূর নবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর ৩৩তম ও গাউস উল আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী(আঃ) এর ২০তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোর্শেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী(আঃ) মশহুর নাম “মওলাপাক”-এর এই ১১৯তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উদযাপিত হবে। পবিত্র ওরশ শরীফ পরিচালনা করবেন মেদিনীপুরের পীর কাদেরীয়া তরীকার সজ্জাদানসীন বড় হুজুর পাক হযরত সৈয়দ শাহ্ রশিদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। ওরশ শরীফ একই দিনে রাজবাড়ী শহরের খানকায়ে কাদেরীয়া বড় মসজিদ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। এ জন্য আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে উভয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে গত ১২ই ফেব্রুয়ারী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের রাজবাড়ী থেকে উক্ত ওরশে অংশগ্রহণের জন্য ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ২৪টি বিশেষ বগি সম্বলিত ট্রেনটি সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে।