Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

লাভজনক হওয়ায় বালিয়াকান্দির কৃষকরা তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে

॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ স্বল্প খরচ ও কম পরিশ্রমের পাশাপাশি ভালো ফলন এবং অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার কৃষকরা দিন দিন তুলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। বাড়ছে দেশী ও হাইব্রীড জাতের তুলা চাষ। উৎপাদিত তুলা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া তুলা ক্ষেতে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে শত শত দরিদ্র নারী-পুরুষেরা।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বালিয়াকান্দি উপজেলার ১৩৭ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করেছে ৩৬৩ জন কৃষক। মাটি ও আবহাওয়া তুলা চাষের উপযোগী হওয়ায় ২২ শতাংশের এক পাখি জমিতে মাত্র ৪শ’ গ্রাম বীজ বুনলেই তুলার ফলন হয় গড়ে ১০/১২ মণ করে।
কাশেদ আলী নামে একজন তুলা চাষী বলেন, তুলা চাষ লাভজনক। এ জন্য আমি ২০ বছর ধরে তুলা চাষ করে আসছি। এ বছর সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছি। এ বছর তুলার ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় তুলার মানও ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘাতে ১২ থেকে ১৫ মণ করে তুলা হয়। তবে আমরা তুলার সঠিক দাম পাই না। বর্তমান প্রতি মণ তুলা ২ হাজার টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে। তুলার দাম অন্তত ২৫শ’ টাকা মণ নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানাচ্ছি।
তুলা ক্ষেতে কাজ করা নারী শ্রমিক ফাহিমা বেগম (৪০) বলেন, আমরা প্রতিদিন দেড়শ’ টাকা করে মজুরী পাই। এতে আমাদের একটা কাজের সুযোগ হয়েছে।
আরেক নারী শ্রমিক মনোয়ারা বেগম (৪৫) বলেন, প্রতি বছরের এই সময়ে যখন ক্ষেতে তুলা ফোটে তখন আমরা গ্রামের অসহায় নারীরা তুলা বাগানে কাজ করে আয় করি।
প্রতিবন্ধী শ্রমিক হাশেম (৫৬) বলেন, আমার মতো অনেক অসহায় গরীব নারী-পুরুষ তুলা ক্ষেতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। তুলা সংগ্রহ করতে বেশী কষ্ট হয় না। আমরা আয় করার একটা পথ পেয়েছি।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বালিয়াকান্দি উপজেলা কার্যালয়ের কটন ইউনিট অফিসার আহম্মদ হোসেন জানান, লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকরা দিন দিন তুলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এখানকার মাটিও তুলা চাষের খুব উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ টন করে তুলা উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।