॥এম.এইচ আক্কাছ॥ পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকটের ফলে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় মালভর্তি অর্ধশত কার্গো জাহাজ আটকা পড়েছে। জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাবনা জেলার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জ জেলার বাঘাবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্যে এসেছে।
গতকাল ৮ই ফেব্রুয়ারী দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ৬নং ফেরী ঘাট থেকে প্রায় ১ কিঃ মিঃ ভাটিতে কার্গো জাহাজগুলো আটকে আছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মালভর্তি জাহাজগুলোর নির্বিঘেœ চলাচল করতে ১২-১৩ ফুট গভীরতা (পানির) প্রয়োজন। তবে পদ্মা নদীর এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর থাকার পাশাপাশি পানির গভীরতা রয়েছে ৭-৮ ফুট করে। ফলে সার, পাথর, গম ও কয়লা বোঝাই জাহাজগুলো এই নৌপথে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারছে না। একইভাবে এই নৌপথের পাবনা জেলার মোল্লার চর ও লতিফপুর এলাকায়ও ডুবোচর ও নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। ওইসব এলাকায় জাহাজগুলোর চলাচল নিরাপদ নয় এবং জাহাজ থেকে আনলোড করার সুব্যবস্থাও নেই। তাই দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটের ভাটিতে নোঙ্গর করে প্রতিটি জাহাজ থেকে মাল আনলোড করে ছোট ছোট বলগেটে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের সময় ও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
আটকে পড়া কার্গো জাহাজ এমভি মাস্টার জিহাদ-এর চালক বোরহান উদ্দিন জানান, বর্ষা মৌসুমে জাহাজ নিয়ে এই নৌরুটে চলাচলে কোন প্রকার সমস্যা হয়নি। কিন্তু শুকনো মৌসুমের শুরুতেই নদীতে ডুবোচর ও নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় এখানে জাহাজ নোঙ্গর করে আনলোড করে বলগেটে পাঠাতে হচ্ছে। এতে খরচ বেশী পড়ছে এবং সময়েরও অপচয় হচ্ছে।
দৌলতদিয়ার শ্রমিক সর্দার আয়ুব মন্ডল বলেন, পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে কার্গো জাহাজগুলো এসে নোঙ্গর করেছে। আমরা মাল আনলোড করে ছোট বলগেটে তুলে দিচ্ছি।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা বন্দরের কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, এই নৌরুটে ছোট জাহাজ চলাচলের জন্যে নির্ধারিত ড্রাপ(পানির গভীরতা) রয়েছে। তবে অতিরিক্ত লোডের কোন জাহাজ আসলে কিছু মাল আনলোড করে ড্রাপ কমিয়ে যেতে হয়।