বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

বাংলাদেশে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির কথা জাতিসংঘে তুলে ধরলেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

॥নিউইয়র্ক প্রতিনিধি॥ জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ‘বৈষম্য, বৈরিতা ও সহিংসতা বন্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য মোকাবিলা ও উষ্কানি প্রতিরোধ ঃ জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনার মধ্যে সমন্বয়’ শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টে বক্তব্য প্রদানকালে বাংলাদেশে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির কথা তুলে ধরলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সপ্তাহ উপলক্ষে জাতিসংঘের জেনোসাইড প্রিভেনশন ও রেসপন্সিবিলিটি টু প্রটেক্ট কার্যালয় এই ইভেন্টের আয়োজন করে। এতে সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, মরক্কো ও ইতালি।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয় উক্তি ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উদ্ধৃত করে কিভাবে বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মিলে-মিশে বসবাস করছে তা তুলে ধরেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন ধর্মীয় নেতা ও শিক্ষকগণকে আমাদের সমাজে সর্বোচ্চ সম্মানের চোখে দেখা হয় এবং একারণে আমরা তাঁদেরকে সামনের সারিতে রেখে সমাজ থেকে ধর্মের অপব্যবহার, ঘৃণাত্বক বক্তব্য, অসিহষ্ণুতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এক্ষেত্রে তিনি ধর্মীয় নেতা, মসজিদসহ ধর্মীয় উপসানলয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণের বেশকিছু উদাহরণ তুলে ধরেন।
সন্ত্রাসবাদ, সহিংস উগ্রবাদ ও মৌলবাদ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি এবং এক্ষেত্রে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি আরও বলেন, আমরা এলক্ষ্যে ‘সমগ্র সমাজ’ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছি। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বহুপাক্ষিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের নানা দিক উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমরা সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে গঠিত ‘গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এন্ড রেজিলিয়েন্স ফান্ড (জিসিআরইএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আন্তঃধর্মীয় প্রচারণা, আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ ও সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস্ এর সদস্য। এছাড়া আমরা বাংলাদেশের ফ্লাগশীপ রেজুলেশন ‘শান্তির সংস্কৃতি’র মাধ্যমে আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপের প্রসারে নিরবচ্ছিনভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
ঘৃণাত্বক বক্তব্য রোধে কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়নসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতিসংঘের চলমান পদক্ষেপকে এগিয়ে নিতে বেশকিছু সুপারিশের কথা উল্লেখ করেন স্থায়ী প্রতিনিধি। এক্ষেত্রে তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়টি তুলে ধরেন।
গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অ্যাডামা ডিয়েং ইভেন্টটির সঞ্চালনা করেন। সম্প্রতি, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠানসমূহ অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!