॥শেখ মামুন॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের পশ্চিম উড়াকান্দা এলাকায় গত ২রা ফেব্রুয়ারী রাতে আকস্মিকভাবে একটি হাতি ঢুকে পড়ে। হাতিটি স্থানীয় এক কৃষকের কলা বাগান তছনছ করাসহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করতে থাকে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তাদের রাত কাটে নির্ঘুমে।
এদিকে হাতিটি গোয়ালন্দ থেকে বেড়ী বাঁধ সড়ক দিয়ে রাজবাড়ীর দিকে আসার খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল হাতিটির পিছু নেয়। পশ্চিম উড়াকান্দা পর্যন্ত তারা হাতিটিকে অনুসরণ করে পিছু পিছু আসলেও হাতিটি যখন কলা বাগানের মধ্যে ঢুকে তান্ডব চালানো শুরু করে তখন পুলিশ অদূরে থেকে পাহারা দিতে থাকে। সকালে নতুন করে আরেক দল পুলিশ আসার পর আগের পুলিশরা চলে যায়।
হাতিটিকে নিয়ে যখন এই নাটকীয়তা চলতে থাকে, তখনই জনগণের ভীড়ের মধ্য দিয়ে কৌশলে এক যুবক হাতির কাছে গিয়ে ইশারা করতেই হাতিটি পা ভেঙ্গে দাঁড়ালে সে হাতির পিঠে উঠে বসে। ওই সময় পুলিশ তাকে নিষেধ করলেও শোনেনি। সে দাবী করে, হাতিটির মাহুত পালিয়ে গেছে। এ জন্য হাতির মালিক তাকে হাতিটিকে নিতে পাঠিয়েছে। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় জনতা তাকে হাতির পিঠ থেকে নামার জন্য চাপাচাপি করতে থাকলে সেও ‘হাতিটিকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার’ ভয় দেখাতে থাকে। এ সময় তাকে হাতির পিঠে বসে মোবাইল ফোনে কারও সাথে কথা বলতে দেখা যায়। কার সাথে কথা বলছে জানতে চাইলে সে প্রকাশ করে, হাতির মালিক এখানে আসবে। কার কী ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিবে। একপর্যায়ে সে রেগে হাতিটিকে দিয়েই গাছের মোটা একটি ডাল ভাঙ্গিয়ে নিজের হাতে নিয়ে হাতির মাথায় সজোরে আঘাত করতে থাকলে হাতিটি উত্তেজিত হয়ে দাপাদাপি করতে থাকে। তখন পুলিশ ও জনতা ভয় পেয়ে সরে গেলে সে হাতিটিকে নিয়ে দ্রুত ভেগে যায়।
হাতিটির আসা থেকে শুরু করে চলে যাওয়া পর্যন্ত পুরো ব্যাপারটিই এলাকার লোকজনের কাছে রহস্যঘেরা বলে মনে হচ্ছে।