॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ে গতকাল ৩রা জুন বেলা ১১টায় বাংলাদেশ যুবমৈত্রী রাজবাড়ী জেলা শাখার সংবাদ সম্মেলনে যুবমৈত্রী নেতা আলমগীর ও সেলিমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্ত ও তাদের মুক্তির দাবী জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ যুবমৈত্রী রাজবাড়ী জেলা শাখা সভাপতি এডভোকেট বিপ্লব রায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যুবমৈত্রীর সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ও বরাট ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সেলিম প্রামানিককে গত ১লা মার্চ রাত ৮টার দিকে শহরের রেলগেট এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গভীর রাতে বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা বাজারে একটি তালা বিহীন খোলা ঝাপ বিশিষ্ট ভাঙ্গা দোকান ঘরের মধ্য থেকে রিভালরার ও গুলি উদ্ধার দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এছাড়াও একটি হত্যা মামলায় তাকে সন্দেহ ভাজন আসামী করা হয়।
যুবমৈত্রী সভাপতি এডভোকেট বিপ্লব রায় আরো বলেন, সেলিমের চেয়ে আরো বেশী নগ্ন, হিংস্র ও আপত্তিকর ঘটনা ঘটে যুবমৈত্রীর সদর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ও বরাট ইউনিয়নের সভাপতি আলমগীর খানে ক্ষেত্রে। গত ২৩শে মে বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর বিরুদ্ধে যুবমৈত্রী ও ছাত্র মৈত্রীর বিক্ষোভ কর্মসূচীতে যোগদানের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় বরাট থেকে ব্যাটারী চালিত অটো গাড়ীতে রাজবাড়ী আসছিল সে। পথিমধ্যে দাদশী বাজারের কাছে আগমারাই এলাকায় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তার অটোটি থামিয়ে সকল যাত্রীদের নাম জিজ্ঞাসা করে পুলিশ। এ সময় আলমগীর তার নাম পরিচয় বললেই পুলিশ বহু লোকের সামনে তাকে অটো থেকে টেনে হেছড়ে নামায়। এরপর তাকে মারপিট করা হয় এবং মারপিটের এক পর্যায়ে উপস্থিত লোকদের তোয়াক্কা না করেই তার কোমরে একটি নাইন এমএম পিস্তল জোর পূর্বক গুজে দেয়া হয়। ঘটনার সময় যে সমস্ত লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল তাদেরকে স্বাক্ষী না করে যারা এ সকল ঘটনার চক্রান্তের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন ২জনকে স্বাক্ষী করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, আলমগীর ও সেলিমকে স্থানীয় কিছু কুচক্রী ও প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিবর্গের যোগসাজসে উভয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অস্ত্র ও হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ এবং ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা করছি। সেই সাথে আলমগীর ও সেলিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বরাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান সালাম, যুবমৈত্রী রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সদর উপজেলা যুবমৈত্রীর সভাপতি আব্দুল বারেক, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম সাব্বির, ছাত্রমৈত্রী রাজবাড়ী জেলা শাখার আহবায়ক আমীন হাওলাদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।