॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলায় আড়াই হাজার প্রাথমিক শিক্ষার্থী পাচ্ছে বিনামূল্যে উন্নতমানের টিফিন বক্স। সদর উপজেলার ১৩৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেয়া হবে এই টিফিন বক্স। আর এই উদ্যোগ নিয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদ।
গতকাল ২৫শে মে সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের লক্ষীকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিফিন বক্স বিতরণের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
স্কুল ৪টি হলো ঃ লক্ষীকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সি বেলায়েত হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরধুঞ্চি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উড়াকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরবর্তীতে আরো ২৬টি স্কুলের মধ্যে এই টিফিন বক্স বিতরণ করা হবে।
টিফিন বক্স বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এম.এ খালেক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আহম্মদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার বিউটি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসরিন আক্তার বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে দাদশী ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মোঃ লোকমান হোসেন, লক্ষীকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সেলিম আহম্মেদ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নুরমহল আশরাফী ও উপস্থাপনা করেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট এম.এ খালেক বলেন, শুধু পাঠ্য বই পড়লেই হবে না। পুথিগত বিদ্যা অর্জন করতে হবে। এদেশ আমাদের। তাই দেশের কথা চিন্তা করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করতে হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। এদের যদি যতœ না নেই তাহলে এরা আগাছায় পরিনত হবে। শিশুদের যদি ভাল রাখি তাহলে জাতি ভাল থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নুরমহল আশরাফী বলেন, আজকের এই দিনই আমার কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাওয়ার জন্য আল্লাহর যে নেয়ামত গুলো দরকার তার মধ্যে একটি হচ্ছে শিক্ষা। একটা জাতি কিভাবে গড়ে উঠবে তার নির্ভর করে প্রাথমিক শিক্ষার উপরে। তাই এই প্রাথমিক শিক্ষার উপর নজর দিতে হবে। আমাদের সন্তানেরা যদি এগিয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা হলেন নৌকার মাঝি। নৌকা তীরে নেয়ার দায়িত্ব আপনাদের।