॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ জেনোসাইড কনভেনশনের ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গতকাল ‘গণহত্যা প্রতিরোধ ও এই অপরাধের শাস্তি প্রদান এবং গণহত্যার শিকার মানুষদের মর্যাদা ও স্মরণসহ এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস বিষয়ক কনভেনশনের ৭১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জাননো হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীর অংশ বিশেষ উদ্বৃত করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চলমান বা ভবিষ্যৎ যে কোনো জেনোসাইডের প্রতিরোধ ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে আজ তা নবায়নের দিন।”
বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি ছিল মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যার একটি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে এটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি এবং জাতিসংঘেও এখন পর্যন্ত স্বীকৃত হয়নি।
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা ২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের স্মরণসহ গণহত্যার শিকার বিশ্বের সকল মানুষদের এই দিনটিতে আমরা স্মরণ করি।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ প্রসঙ্গে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে ভয়াবাহ নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তাও উল্লেখ করেন।