শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ী জেলা ও সদর উপজেলার নির্বাচিত জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন/চঞ্চল সরদার॥ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৯ উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনার বারতা, নারী-পুরুষ সমতা’-শীর্ষক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে গতকাল ৯ই ডিসেম্বর বেলা ১১টায় কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা এবং জেলা ও সদর উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচিত জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং নির্বাচিত জয়িতাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান খান, নির্বাচিত জয়িতাদের মধ্যে সহকারী জজ রাইসা সরকার ও সালমা আক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডাঃ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারী অধ্যাপক শামীমা আক্তার মুনমুন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, জয়িতাদের গল্প নারীদের এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। মেয়েদের নিয়ে বেগম রোকেয়ার যে সংগ্রাম ছিল তা অনেকদূর এগিয়েছে। আমরা নারী-পুরুষের সমতার কথা বলি, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত নারীদের যথাযথ সম্মান দেয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা অর্জিত হবে না। মেয়েদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, নিজেদের মতো করে কাজ করে যেতে হবে। নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে সম্মান আদায় করে নিতে হবে। এখনো বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ার আগেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। কম বয়সে বিয়ে হয়ে গেলে, লেখাপড়া শেষ করতে না পারলে সে কীভাবে নিজেকে দাঁড় করাবে। তিনি নির্বাচিত জয়িতাদের অভিনন্দন জানান এবং তাদের সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নারীদের এগিয়ে যেতে প্রত্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস বলেন, বাংলার নারী জাগরণের পথিকৃত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালে সালের এই দিনে(৯ই ডিসেম্বর) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ এবং ১৯৩২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার জন্মদিনটিকে আমরা ‘রোকেয়া দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছি। তিনি আমৃত্যু নারী শিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীদের জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। যারা এ বছর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।
আলোচনা পর্বের শেষে ৫টি ক্যাটাগরীতে রাজবাড়ী জেলা ও সদর উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচিত জয়িতাদের উত্তরীয় পরিয়ে এবং ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
জেলা পর্যায়ের নির্বাচিত জয়িতারা হলেন ঃ ‘শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী’ ক্যাটাগরীতে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা এলাকার সুজয় কুমার ভাজনের স্ত্রী সহকারী জজ রাইসা সরকার, ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী’ কাটাগরীতে কালুখালী উপজেলার বানজানা গ্রামের আইনুল কবিরের স্ত্রী যুথী খাতুন, ‘সফল জননী’ ক্যাটাগরীতে পাংশা উপজেলার তর্ত্তিপুর গ্রামের হাজী চাঁদ আলী খানের স্ত্রী রোকেয়া পারভীন, ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা’ ক্যাটাগরীতে বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের অলংকারপুর গ্রামের মোকাররম হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগম এবং ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যামে জীবন শুরু করা’ ক্যাটাগরীতে গোয়ালন্দ বাজারের আড়তপট্টি এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী সালমা আক্তার।
সদর উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচিত জয়িতারা হলেন ঃ ‘শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী’ ক্যাটাগরীতে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা এলাকার সুজয় কুমার ভাজনের স্ত্রী সহকারী জজ রাইসা সরকার, ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী’ কাটাগরীতে মিজানপুর ইউনিয়নের সাবেক মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার মন্ডলের স্ত্রী রাবেয়া বেগম, ‘সফল জননী’ ক্যাটাগরীতে রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা এলাকার মুকুল সরকারের স্ত্রী জয়ন্তী রাণী সরকার (রাইসা সরকারের মা), ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা’ ক্যাটাগরীতে দাদশী ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী ফরিদা রহমান এবং ‘নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যামে জীবন শুরু করা’ ক্যাটাগরীতে দাদশী ইউনিয়নের ধুলদী কৃষ্ণপুর গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে নাজিমা খাতুন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার জেলা ও সদর উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচিত সকল জয়িতাকে ২হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা দেন। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!