মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীতে জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের একাংশের সাংবাদিক সম্মেলন

  • আপডেট সময় রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনে অনিয়ম ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাউন্সিলসহ ষড়যন্ত্রমূলক পকেট কমিটি গঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের একাংশ।
গতকাল ৭ই ডিসেম্বর বেলা ১২টায় শহরের পান্না চত্বরস্থ পালকি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের ব্যানারে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ্ব আকবর আলী মর্জি, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার এবং সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহ্রাব, যুগ্ম-সম্পাদক এডঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিঃ আমজাদ হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন উদ্দিন বতু, কোষাধ্যক্ষ আজগর আলী বিশ্বাস ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান পিয়ালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন রাজবাড়ী জেলায় পৌরসভাসহ ৬টি সাংগঠনিক থানা, ২টি পৌরসভা ও ৪২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। প্রতি তিন বছর পর পর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উক্ত কাউন্সিলের দিন-তারিখ ও কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের তালিকা তৈরী না করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী ষড়যন্ত্রমূলক একতরফাভাবে কাউন্সিল করে যাচ্ছে। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষা করে জামাত-বিএনপি, ফিডম পার্টি ও অন্যান্য দল থেকে আগত হাইব্রিড নিয়ে নেতা নির্বাচন করছেন। বিশেষ করে পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি থানা এলাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে কোন নির্বাচন না করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি একই দিনে ২/৩টি করে সম্মেলন করছেন এবং একতরফাভাবে সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এর নাম ঘোষণা করছেন, যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। যে সকল নেতৃবৃন্দ অনৈতিক রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার ও শারীরিক নির্যাতন করছেন।
আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী,এমপি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী এককভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নে আজ্ঞাবহ নেতাদের দিয়ে ইউনিয়ন কাউন্সিল করেছেন। কোন ইউনিয়নের সম্মেলনে ২য় অধিবেশন বা কাউন্সিল অধিবেশন না করে দলীয় অফিসে ডেকে এনে জোর করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে কমিটি ঘোষণা করেছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করি। এই সকল নিয়মতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এবং অনিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী কেরামত আলী এমপিসহ জেলা আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগ করলে জেলার সর্বস্তরে সম্মেলন জাতীয় কাউন্সিলের আগে না করার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করলে উভয় পক্ষকে সমঝোতা করে জেলা আওয়ামী লীগের মিটিং ডেকে কাউন্সিল ও ডেলিগেট ঠিক করে তারিখ ঘোষণার পরামর্শ দিলেও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে নিজেদের মতো কাউন্সিলর লিস্ট করে থানা/উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন, যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। আবার ওয়ার্ড কাউন্সিল করার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম থাকার কথা থাকলেও সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। আবার বিগত পৌর কাউন্সিলে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীসহ জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের অনেক নেতাকে অবহিত না করে দলীয় অফিসে বসে একতরফাভাবে কমিটি ঘোষণা করেছেন, যাতে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য ও বিতর্কিতদের বিভিন্ন পদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রাজবাড়ী সদর উপজেলায় যুদ্ধাপরাধী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে লুকিয়ে রেখে নিজ হেফাজতে ভারতের বর্ডার পার করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী খানকে পুনরায় সদর উপজেলা আওয়ামীর লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত করার ষড়যন্ত্র করছেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি জহুরুল সরকারী কলেজে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ১৯৯০ সালে ছাত্র শিবিরের প্যানেল থেকে এজিএস পদে নির্বাচন করেছে। তাকে দলে এনে পৌর আওয়ামী লীগে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে এই শিবির নেতাকে আবার এপিপি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী আরো বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা উপেক্ষা করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মন্ডলকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করাসহ গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহবুব রব্বানীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন, যেগুলো গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ বলে উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যের বাইরেও বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, রাজবাড়ীতে কাউন্সিল করে বিতর্কিত লোকদের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ দেওয়া হচ্ছে। গোয়ালন্দের কাউন্সিল করা হচ্ছে, সেখানে মাস্তানদের পদ দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলাও রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আমরা কখনো এটা হতে দিতে পারি না। আজকে এই সাংবাদিক সম্মেলনের আগে আপনারা দেখেছেন ছাত্রলীগ নামধারী কিছু দুর্বৃত্ত আমার উপর হামলা করতে এসেছে, পুলিশের উপরও চড়াও হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন কোন দিন কেউ মাস্তান দিয়ে রাজনীতি করতে পারে নাই, কখনো পারবেও না।
তিনি আরো বলেন, এখন বিতর্কিতদের বিভিন্ন পদ দিচ্ছেন। আমরা কোন পকেট কমিটি মানি না। যখন আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করার উদ্যোগ নিলাম তখন আপনারা দেখেছেন তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলাম ৪বার। এটা মাননীয় প্রধামন্ত্রীর কাছে বলবো, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে বলবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আকবর আলী মর্জি বলেন, যদি কেউ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাহলে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। কমিটিতে কে থাকবে কে থাকবে না সেটা দেখবেন শেখ হাসিনা। রাজবাড়ীতে যে কাউন্সিলগুলো হয়েছে সেগুলো চোরের মতো করা হয়েছে। কারা কোন পদে আছে সেটা কিন্তু আমরা জানি না। আমাদের না জানিয়ে যে পকেট কমিটি করা হয়েছে সেই সকল কমিটি বাদ দিয়ে কাউন্সিল করতে হবে। আজকে রাজবাড়ীতে কিছু লোক কোন কিছুই মানছে না। গায়ের জোরে সকল কমিটি দিচ্ছে। যারা পদ পাচ্ছে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরুদ্ধের লোক, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধ লোক। কেরামত কাজীর বাবাকে যারা হত্যা করেছে, যারা মদদ দিয়েছে তাদের অনেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে বলটু বলে। তারা আজ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছে। আওয়ামী লীগ সংগঠন তার গঠনতন্ত্রের উপর চলবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, আওয়ামী লীগের সংগঠন কারো বাপ-দাদার না, এটা সবার জন্য। যারা কমিটিতে আছে তারা সবাই মিলে কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আজকে গোয়ালন্দে সম্মেলন হচ্ছে কিন্তু সেখানে আমরা দাওয়াত পেলাম না। নিজেদের ইচ্ছামতো তারা কাজ করছে। সেখানে আমাকে দাওয়াত দেওয়ার দরকার ছিলো, কারণ সেখানে আমার বাড়ী। আজকে আপনারা দেখেছেন কীভাবে কাজী কেরামত আলীকে লাঞ্ছিত করা হলো। অথচ তিনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। তার মতো মানুষের উপর আক্রমণ করা হলো।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, এই সাংবাদিক সম্মেলন কারো বিরুদ্ধে না। অনিবার্য কারণে আমাদের এই সম্মেলন করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটা সংগঠন। এর নেতারা স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু বেশ কিছু দিন রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের ভিতরে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। সংগঠনের নীতি বিসর্জন দিয়ে তাদের নিজস্ব আইনবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। পকেট ভরার জন্য তারা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে এই সাংবাদিক করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের এই শান্তিপূর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। ৫বারের এমপি কাজী কেরামত আলীসহ আমাদের উপর হামলা করার চেষ্টা চালিয়েছে। আমাদের সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলেছে। তাই পকেট কমিটি মেনে নেয়া হবে না। সঠিকভাবে সম্মেলন হলে সংগঠনের জন্য ভালো হয়। কিন্তু দেখা যায় কমিটি করে সেটা মানুষ জানে না। আবার উনি থাকলে আমরা যাবো না, ও থাকলে সেখানে বসবো না-এটা হলে কী সম্মেলন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!