॥শেখ মামুন॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ছোট ঘিকমলা গ্রামের কৃষক নিয়ামত আলী শেখ ২১বছর আগে জমি কিনে করা বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ আতংকে দিন কাটাচ্ছে।
প্রভাবশালী বিক্রেতা পক্ষ জমির দলিল করে না। উপরন্তু তারা বাড়ীতে পাকা ঘর তুলতেও বাধা দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানী করছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নিয়ামত আলী শেখ দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে অসহায় নিয়ামত আলী শেখ সাংবাদিকদের কাছে তার দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বলেন, ১৯৯৮ সালে ছোট ঘিকমলা গ্রামের নজরুল ইসলামের পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় নজরুল, তার ভাই ও পিতা তাদের ১১০ শতাংশ জমি বিক্রির প্রস্তাব দিলে তৎকালীন বাজারমূল্যে তিনি জমিটি ক্রয় করে ঘর-বাড়ী, চাষাবাদ ও পুকুর খনন করে ভোগ-দখলে রয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন সাক্ষীর মোকাবেলার নজরুল এবং তার ভাই ও পিতা কয়েক কিস্তিতে ১লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা গ্রহণ করে দলিলে টিপসই-স্বাক্ষর করার পরও জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে কালক্ষেপণের পাশাপাশি নানাভাবে হয়রানী করে আসছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে সালিশ করে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কথা বললেও তারা তা করেনি। উপরন্তু কিছুদিন আগে হয়রানী করার জন্য নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করে, কিন্তু আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর আমি (নিয়ামত আলী শেখ) পাকা ঘর উত্তোলন করতে গেলে নজরুল গং বালিয়াকান্দি থানা পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে ঘর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ, আব্দুল হালিম, তালেব আলী, মকবুলসহ কয়েকজন বলেন, নিয়ামত ২০/২১ বছর যাবৎ জমিতে বাড়ীঘর করে বসবাস এবং চাষাবাদ ও পুকুর খনন করে ভোগ-দখল করে করে আসছে। নজরুলরা জমি বিক্রি করে নিয়ামতের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিলেও এখনো জমি রেজিস্ট্রি করে দেয় নাই। তবে দলিল লেখা ও টিপসই-স্বাক্ষর করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, নজরুল গংদের সাথে নিয়ামতের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে আমি জানি। আদালতে যদি বিরোধকৃত জমি নিয়ে আর কোন মামলা না থাকে তাহলে ঘর উত্তোলনে বাঁধা নাই।