শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজিব-দিয়ার মৃত্যু মামলায় দুই চালকসহ ৩জনের যাবজ্জীবন জেল

  • আপডেট সময় সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় আদালত জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালকসহ ৩জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ।
গতকাল ১লা ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও হেলপার এনায়েতকে খালাস দেয়া হয়।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন ঃ দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী কাজী আসাদ। কাজী আসাদ পলাতক রয়েছেন।
গত ১৪ই নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ ১লা ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন সাক্ষ্য দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯শে জুলাই রাজধানীর বিমান বন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে বাস চাপায় নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব(১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম(১৬)। ঘটনার দিনই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
২০১৮ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম চার্জশীট জমা দেন। গত ২৫শে অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ আসামীদের অব্যাহতির আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ(চার্জ) গঠন করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার দিন-দুপুরে চালক ও তাদের সহকারীরা বেশি লোক ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা না শুনে এবং তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ান। এ সময় আরেকটি বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪ থেকে ১৫জন শিক্ষার্থীর ওপর গাড়িটি উঠিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। এতে আহত হন ৯জন।
মামলায় আসামী করা হয় ৬জনকে। তাদের মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে। জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছেন।
রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা মহানগর আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু বলেন, “রায়ে আমরা সন্তুস্ট। আসামীদের বিরুদ্ধে দন্ড বিধির ৩০৪ ধায়ায় আনীত অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। আইন অনুযায়ী তিন আসামীর সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে।” পিপি বলেন, এ রায়ে আবারও প্রমানিত হয়েছে অপরাধ করে কেউ পার পাবেন না।
সরকারী কৌসুলী তাপস কুমার পাল বলেন, অভিযোগ গঠনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যান জাবালে নূরের মালিক শাহাদাত হোসেন। তাঁর পক্ষে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ আসে। বাকি ৫জনের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পিপি জানান, আজ তারা এ স্থগিতাদেশ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!