॥রঘুনন্দন সিকদার॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল ২৯শে নভেম্বর বিকালে জামালপুর কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বক্তব্য রাখেন।
জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামিম মিয়া মোড়লের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল হান্নান মোল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম সূফি মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদ হোসেন বাবু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন ও জামালপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক লিমন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান টিটো চৌধুরী, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সনজিৎ রায়, মতিয়ার রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাসেল খান রিজু এবং সম্মেলনের কাউন্সিলর-ডেলিকেটসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের উজ্জ্বল নক্ষত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য তার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। দল করতে হলে দলের আদর্শ মেনে চলতে হবে। বিএনপি-জামাত ক্ষমতার থাকার সময় অন্যায়-অত্যাচার আর লুটপাট ছাড়া তারা কিছুই দিতে পারে পাই। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জন্য কাজ করছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর অন্য সব জায়গার মতো জামালপুর ইউনিয়নেও অনেক উন্নতি হয়েছে। আমি ৯৬ সালে প্রথম এমপি হয়ে জামালপুর হয়ে কোলারহাট পর্যন্ত পাকা রাস্তা করে দিয়েছিলাম। যাতে আপনারা সহজে রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারেন। সাঙ্গুরা গ্রামে আমিই প্রথম বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখন জামালপুর ইউনিয়নের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এসব উন্নয়নের সুফল জামালপুর ইউনিয়নবাসী ভোগ করছে। তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হয়েছে। এসবই শেখ হাসিনার সরকারের অবদান।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমে ৩শত টাকা করে ভাতা পেতেন। এখন তারা ১০ হাজার টাকা করে ভাতা ও বছরে কয়েকটি করে বোনাস পাচ্ছেন। তাদের বাড়ী করে দেয়া হচ্ছে। বিএনপি-জামাতের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছুই করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বড় সম্মান শেখ হাসিনার সরকারই দিয়েছে। বিধবা, প্রতিবন্ধী, বয়ষ্ক ভাতা পেয়ে লক্ষ লক্ষ অসহায় মানুষ উপকৃত হচ্ছে। গ্রামের মানুষেরা যেন স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। সেখানে বিনামূল্যে অনেক ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নেই তাদেরকে সরকারীভাবে ঘর করে দেয়া হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হচ্ছে। কৃষকরা সময়মতো সুলভে কৃষি, বীজ, সারসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণ পাচ্ছে। বছরের প্রথম দিনেই কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণ সুখে-শান্তিতে আছে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনার মাধ্যমে পুনরায় মজিবর রহমান বিশ্বাসকে জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শামিম মিয়া মোড়লকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে তারা সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন।