শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

পর্দা কেলেংকারী ঃ ফমেক হাসপাতালের তিন ডাক্তারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

॥মাহবুব হোসেন পিয়াল॥ আলোচিত পর্দা কেলেংকারীর ঘটনায় অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতীত উচ্চমূল্যে ইকুইপমেন্ট(সরঞ্জাম) ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টার দায়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ(ফমেক) হাসপাতালের ৩জন ডাক্তারসহ ৬জনের বিরুদ্ধে গতকাল ২৭শে নভেম্বর মামলা দায়ের করেছে দুর্র্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
মামলার অপর ৩জন আসামী হলো ঃ জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং তার দুই ঠিকাদার ভাই। গত ২৬শে নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়ার পর গতকাল ২৭শে নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরে ০৪/১৯ নং মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলো ঃ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট ও বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের প্রভাষক ডাঃ এএইচএম নূরুল ইসলাম, হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট(গাইনী) ডাঃ মিনাক্ষী চাকমা, সহযোগী অধ্যাপক(ডেন্টাল) ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ গণপতি বিশ্বাস, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ এবং তার দুই ভাই মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মুন্সী ফররুখ হোসাইন ও মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী মামলাটি নিয়ে ফরিদপুর জেলা জজ আদলতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান জোয়ার্দ্দারের কাছে যান।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ১০ কোটি টাকার চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ও মালামাল সরবরাহ করে মেসার্স অনিক ট্রেডার্স। ২০১৪ সালের কার্যাদেশ অনুযায়ী মেসার্স অনিক ট্রেডার্স ২০১৮ সালের ২০শে অক্টোবর ১০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ও মালামাল সরবরাহ করে, যা বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশী। অন্যদিকে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ওই যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়। বিল দাখিল করা হলেও আদালতের হস্তক্ষেপে তা আটকে যায়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের যন্ত্রপাতি ক্রয় নিয়ে মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশের পর উচ্চ আদালত থেকে চলতি বছরের ২০শে আগস্ট অনুসন্ধান করার জন্য দুদককে নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে জনসম্মুখ থেকে রোগীকে আড়াল করে রাখার জন্য যে পর্দা দরকার-আলোচিত সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার সেই পর্দাসহ ১৬৬টি চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
অভিযোগ অনুসন্ধানে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সরোজমিনে ফরিদপুর যায় দুদকের বিশেষ টিম। দুদকের উপ-পরিচালক শামছুল আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অভিযোগুলো অনুসন্ধান করে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন ঃ দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ সহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!