রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবীতে রাজবাড়ীতে মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার ধর্মঘট

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবীতে দেশের বিভিন্ন স্থানের পরিবহন শ্রমিকদের ন্যায় রাজবাড়ী জেলা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চালকরা গতকাল ২০শে নভেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে।
এর ফলে রাজবাড়ীর শহরের মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার স্ট্যান্ডে সকাল থেকে কোন মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কার দেখা যায়নি। এসব গাড়ী ভাড়া করে যেসব যাত্রীদের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল তারাও যেতে পারেনি।
এই ধর্মঘটের অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার মালিক সমিতির মালিক-চালক ও সহকারীরা পৌর ইউ মার্কেটের সামনে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়। সভায় মালিকদের মধ্যে মোঃ হায়দার আলী, মোঃ জাহিদ মোল্লা, মাছুম মিয়া, ছবেদ আলী, মোঃ শাহীন, চালকদের মধ্যে ফরিদ শেখ ও মোঃ আফাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, আজকে আমরা সকল পরিবহন শ্রমিকদের সাথে সহমত পোষণ করে নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি। সরকারের উচিত সার্বিক দিক বিবেচনা করে নতুন সড়ক পরিবহন আইনটি সংস্কার করা। কারণ এই আইনে একজন চালকের যে পরিমাণ জরিমানার কথা বলা হয়েছে সেটা একজন চালকের পক্ষে কখনোই দেয়া সম্ভব না। আর জরিমানা দিতে না পেরে জেলে গেলে তাদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়বে। একজন চালক দিনরাত পরিশ্রম করে যে টাকা বেতন পায় তা একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। সরকার এই পরিবহন আইন সংস্কার না করলে পরিবহন শ্রমিকরা জেলে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে আর গাড়ী চালাবে না। আমাদের মতো জনবহুল দেশে গাড়ী চালাতে গেলে ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এসব দুর্ঘটনার অধিকাংশই চালকদের কারণে ঘটে না। তা সত্ত্বেও তাদের উপরই দায় চাপানো হয়।
এছাড়াও বক্তাগণ নতুন আইনে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারকে ভাড়ায় চালিত(রেন্ট-এ কারে) গাড়ীতে রূপান্তরের জন্য সহনীয় মাত্রায় সরকারী রেজিস্ট্রেশন ফি ধার্য্য করার দাবী জানান।
এ ছাড়াও বক্তাগণ সড়ক সংস্কার, রাস্তার পাশের হাট-বাজার অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয় এবং নতুন সড়ক পরিবহন আইনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!