Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বৈঠক ও আলোচনা সভায় উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান

॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান গত ১৪-১৫ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত প্রভাবশালী দুই মার্কিন থিংক ট্যাংক হাডসন ইন্সটিটিউট ও হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মার্কিন সহকারী মন্ত্রী অ্যালিসওয়েলসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।
গত ১৪ই নভেম্বর হাডসন ইন্সটিটিউটে ‘বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ঃ সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় উপদেষ্টা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। এতে শিক্ষাবিদ, গবেষক, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সংবাদ মাধ্যম ও নীতি ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান দীর্ঘ উপস্থাপনায় বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্যাষ্টিক সামষ্ঠিক অর্থনৈতিক নির্দেশক এবং আকর্ষণীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এই গোলটেবিল বৈঠক পরিচালনা করেন মার্কিন থিংক ট্যাংক কম্যুনিটিতে প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ও হাডসন ইন্সটিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া পরিচালক হুসেন হাক্কানি।
গোলটেবিল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এরপর উপদেষ্টা একটি প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন ও সকলের প্রশ্নের উত্তর দেন।
গত ১৫ই নভেম্বর সকালে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপদেষ্টা নেতৃত্ব স্থানীয় গবেষক ও শিক্ষাবিদদের মুখোমুখিহন। তিনি উপস্থিত শিক্ষাবিদদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকৃত তথ্য ও সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
উভয় অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্টভাবে জানান যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের গুনে বাংলাদেশ আজ প্রশংসনীয় এ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
একই দিন বিকেলে মাননীয় উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উক্ত দীর্ঘ বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের ইতিবাচক বিনিয়োগ পরিবেশের ওপর আলোকপাত করেন। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে দু’জনই আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন। এ সময় আসছে দিনগুলিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বিস্তৃত ও গভীর করার বিষয়ে দু’জন গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।