॥মাতৃকন্ঠ স্বাস্থ্য ডেস্ক॥ বেশীর ভাগ সময়ই মশা কামড় দেয়ার সময় আমরা বুঝতেই পারি না চুলকানি না শুরু হওয়া পর্যন্ত। মশার কামড়ের স্থানটি ফুলে যায় এবং চুলকানি হয়। যা দূর হতে এক বা দুই দিন সময় লাগে। কিন্তু কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা ব্যবহার করে মশার কামড়কে প্রশমিত করা যায়। সেই উপাদানগুলোর বিষয়ে জেনে নিই চলুন।
১। কলার খোসা
হ্যাঁ মশার কামড়ের যন্ত্রণাকে প্রশমিত করতে পারে কলার খোসা। মশার কামড়ের চুলকানি দূর করতে ও ত্বককে প্রশমিত করার জন্য কলার মজ্জা বা কলার খোসা আক্রান্ত স্থানে ঘষুন।
২। তুলসি
তুলসি মশা তাড়ানোর জন্য উপকারী উদ্ভিদ। তবে অনেকেই জানেন না যে, মশার কামড়ের স্থানে আস্তে আস্তে তুলসি পাতা ঘষলে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ তুলসি পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি যৌগ ইউজেনল থাকে।
৩। নিম তেল
নিমের তেল শুধু মশা তাড়াতেই কার্যকরী নয় বরং মশার কামড়ের চুলকানি দূর করতেও চমৎকার কাজ করে। নিমের তেলের সাথে সমপরিমাণ নারিকেলের তেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে যন্ত্রণা কমে।
৪। বরফ
সাধারণত আঘাতের ফোলা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয় বরফ, মশার কামড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতেও সাহায্য করে বরফ। বরফ ত্বককে অবশ করে, ইনফ্লামেশন কমায় এবং যন্ত্রণা দূর হতে সাহায্য করে।
৫। ওটস
আপনি কী ওটমিল দিয়ে গোসল করার কথা শুনেছেন? গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, উষ্ণ পানিতে ২০ মিনিট যাবৎ ওটমিল ভিজিয়ে রেখে এই পানি দিয়ে গোসল করলে চুলকানি ও ফোলা কমে।
৬। তাপ
বরফের মতোই মশার কামড়ের স্থানে সরাসরি তাপ প্রয়োগ করলেও চুলকানি কমতে সাহায্য করে। এজন্য একটি চামচ সামান্য গরম করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে চুলকানি ও ব্যথা কমবে।
৭। অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা জেলের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণের জন্য এটি মশার কামড়কে প্রশমিত করে। এজন্য অ্যালোভেরার একটি পাতা কেটে ভেতরের জেল বের করে নিন। এই জেল আক্রান্ত স্থানে লাগালে ওই স্থানের যন্ত্রণা কমতে সাহায্য করে।
৮। মধু
মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণ আছে। মশার কামড়ের স্থানে ১ ফোঁটা মধু লাগালে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৯। বেকিংসোডা
রান্না ঘরের এই সাধারণ উপাদানটি মশার কামড়ের ও চমৎকার প্রতিকার। বেকিংসোডা পানিতে গুলিয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে মশার কামড়ের চুলকানি ও যন্ত্রণা কমে।
সূত্র: হেলথ লাইন ও দ্যা হেলথ সাইট