Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস থেকে ২হাজার ৬৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করছে সরকার

॥সৈয়দ শুকুর আলী শুভ॥ জলবায়ু-নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সরকার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেসরকারী খাতকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎস থেকে ২,৬৪৬.৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
গতকাল ৫ই নভেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘আমরা একটি দ্রুত পর্যায়ের নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। ২০২০ সালের মধ্যে আমাদের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার কমপক্ষে ১০ শতাংশ উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎস থেকে ২,৬৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচেষ্টা চলছে, কারণ দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য জ্বালানী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৫ শতাংশ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছে এবং বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২,৫৬২ মেগাওয়াট। আমরা এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎস থেকে ৬২৫.০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি।’
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ সোলার হোম সিস্টেম(এসএইচএস) ইনস্টল করেছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহার করা দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস থেকে বিদ্যুৎ বৃদ্ধিতে বেসরকারী খাতকে সরকারের পাশাপাশি কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছি।
এ বিষয়ে আলাপকালে বিদ্যুৎ সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবধর্মী নির্দেশনার সঙ্গে আমাদের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ খাতকে এগিয়ে নিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস থেকে ২,৬৪৬.৫৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার মোট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রায় ২১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে, এরমধ্যে বেশিরভাগই সৌর ভিত্তিক।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানী নীতি অনুসারে, সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা(এসডিজি) অর্জনের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানী প্রকল্পে সরকারী ও বেসরকারী উভয় খাতের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে।