শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সহস্রাধিক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯

॥রফিকুল ইলসাম॥ রাজবাড়ী জেলায় গত দুই মাসে অকাল বন্যা ও পদ্মা-গড়াই নদীর ভাঙনে সহস্রাধিক পরিবার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বাড়ী-ঘরই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
অসহায় পরিবারগুলো সড়ক-মহাসড়ক ও বেড়ী বাঁধের পাশে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব পরিবারের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকার জাহাঙ্গীর নদী ভাঙনের সময় কোনমতে ঘর সরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিল। এখন সে আবার মালামাল নিয়ে ঘোড়ার গাড়ীতে করে পুনরায় লঞ্চ ঘাট এলাকায় ফিরে যাচ্ছে। জাহাঙ্গীরের মতো অনেক অসহায় দিনমজুর পরিবার এমন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সরকারী হিসাব অনুযায়ী, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের ৩৯টি, বরাট ইউনিয়নের ৫০টি, চন্দনী ইউনিয়নের ৩৫টি, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১১৫টি, দেবগ্রাম ইউনিয়নের ১৯০টি, ভোটভাকলা ইউনিয়নের ৬০টি, পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের ২৭২টি, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের ১০০টি, কালিকাপুর ইউনিয়নের ৫০টি, বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ৪৪টি ও নারুয়া ইউনিয়নের ৭৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, আমার ইউনিয়ন বন্যা ও নদী ভাঙনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক পরিবারের বাড়ী নর্দীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ঢল্লা পাড়া, হাতেম মন্ডলের পাড়া, সিদ্দিক কাজীর পাড়া, বেপারী পাড়া, নুহাই মন্ডলের পাড়া-এসব গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হওয়ার পথে। ইউনিয়নের মানচিত্র থেকে এ সকল গ্রাম মুছে যাচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ মন্ডল জানান, ‘বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে ৩শত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ঘর নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছে’।
নদী ভাঙন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা জানান, সরকারী-বেসরকারীভাবে যে সাহায্য এসেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার সাহায্য-সহযোগিতা করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!