॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাইট গার্ড এক কন্যা সন্তানের জনক তারিকুল ইসলাম(৩৫) সম্প্রতি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মোন্তাজ উদ্দিন ভুঁইয়া নামের এক আনসার কমান্ডারের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী আছিয়া বেগম (৩৯)কে মোটা অংকের টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। এ ঘটনায় মোন্তাজ উদ্দিন ভুঁইয়া তার দুইটি প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে ও কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
তারিকুলের বিচারসহ অসহায় সন্তানদের জন্য স্ত্রীকে ফিরে পেতে আনসার কমান্ডার মোন্তাজ উদ্দিন ভুঁইয়া এলাকার লোকজন, পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও সন্তানদের নিয়ে গতকাল ১৫ই অক্টোবর বিকালে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মোন্তাজ উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, একই এলাকার (রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোপীনাথদিয়া গ্রামের) বাসিন্দা হওয়ায় তারিকুল আমার স্ত্রীকে ফুপু ডেকে বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতো। একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইতিপূর্বে তারিকুল আমার স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। এখন আমার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ায় দুইটি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে আমি চরম বিপাকে পড়েছি। আমার স্ত্রী তারিকুলের সাথে ভেগে যাওয়ার সময় বাড়ী থেকে নগদ ৮৬ হাজার টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমার জীবন ও সংসার দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। অর্থ-সম্পদ খোয়া যাওয়ার সাথে সাথে আমার মান-সম্মানও নষ্ট হয়ে গেছে। আমি লম্পট প্রতারক তারিকুলের কঠিন শাস্তি এবং আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই। এ ব্যাপারে আমি তারিকুলকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা করেছি। সেই মামলার ন্যায় বিচার চাই।
মোন্তাজ উদ্দিনের কলেজ পড়–য়া ছেলে ইব্রাহীম ভুঁইয়া বলেন, আমার প্রতিবন্ধী দুই বোন মায়ের জন্য আকুতি করে চলেছে। আমরা তারিকুলের বিচার চাই, মাকে ফিরে পেতে চাই।
আছিয়া বেগম মোবাইল ফোনে বলেন, স্বামী মোন্তাজ উদ্দিন মাঝে-মধ্যেই আমাকে মারধর করতো। এ জন্য আমি তাকে ছেড়ে তারিকুলের সাথে তার গোয়ালন্দের বাসায় চলে এসেছি এবং তাকে বিয়ে করেছি।
তারিকুল ইসলাম বলেন, স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আছিয়া আমার কাছে চলে আসার পর আমি তাকে বিয়ে করেছি।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলশাদ বেগম বলেন, আমার কাছে একটা স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।