Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ফরিদপুরে ফসলী জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তৈরী হচ্ছে একের পর ইট ভাটা

॥মাহবুব হোসেন পিয়াল॥ ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ফসলী জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একের পর এক ইট ভাটা গড়ে উঠছে। এর ফলে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ হলেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার রয়েছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ফসলী জমির ২০০ গজের মধ্যে গড়ে উঠেছে ৩টি ইট ভাটা। এসব ইট ভাটার কালো ধোঁয়া ও ইট-মাটিবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে ধুলা-বালুতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পরিবেশ অধিদপ্তর এসব ইট ভাটার ছাড়পত্র দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নীরু ফকির বলেন, ২টি ইট ভাটা আগেই ছিল। নতুন করে আরেকটি ইট ভাটা করা হয়েছে। এসব ইট ভাটার কালো ধোঁয়া ও ইট-মাটি বহনকারী যানবাহনের চলাচলে এলাকার পরিবেশ খুব খারাপ হয়ে উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে এই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না।
সিদ্দিক মিয়া নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ইট ভাটাগুলোতে বাইরের জেলাগুলো থেকে লোকজন এসে কাজ করছে। তাদের জন্যও আমরা অতিষ্ঠ। কয়েকদিন আগে যশোর থেকে আসা একজন ইট ভাটা শ্রমিক এলাকার একজনের বৌকে নিয়ে চলে গেছে। আমরা আমাদের মা-বোনদের নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি।
নতুন গড়ে ওঠা এবিবি ইট ভাটার মালিক আরশাদ ব্যাপারী বলেন, আমার জমির দুই পাশের ২টি ইট ভাটার কারণে জমিতে তেমন ফসল হচ্ছিল না। তাই ইট ভাটা করার জন্য আবেদন করি। সব অনুমোদন পাওয়ার পর ভাটা করেছি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. মোঃ লুৎফর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, সাধারণতঃ কৃষি জমি ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইট ভাটার জন্য ছাড়পত্র দেয়া হয় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে স্ব-স্ব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের অনুমতি সাপেক্ষে ছাড়পত্র দেয়া হয়ে থাকে। কোন অভিযোগ পেলে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।