॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়ায় ২টি ফেরী ঘাট ও লঞ্চ ঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েকশত যানবাহন আটকা পড়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, পদ্মা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়ার ৬টি ফেরী ঘাটের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ফেরী ঘাট এবং লঞ্চ ঘাট বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বাকী ঘাটগুলো ব্যবহার করে ফেরী চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১নং ফেরী ঘাট থেকে পশ্চিমের ১৮০ মিটার এলাকা জুড়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুরু করেছে।
দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট ও লঞ্চ ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১নং ফেরী ঘাট ও লঞ্চ ঘাট এলাকায় পদ্মার ভাঙন দেখা দিলে এবং স্রোতের কারণে লঞ্চগুলো চ্যানেলে ঢুকতে সমস্যা দেখা দিলে গতকাল ১লা অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঘাটগুলো বন্ধ রাখা হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায় তীব্র স্রোতের কারণে লঞ্চগুলো ভীড়তে না পারায় সকাল থেকেই পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা যাত্রী বোঝাই লঞ্চগুলো দৌলতদিয়া ২ নং ফেরী ঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। লঞ্চ ঘাটের পশ্চিম পাশে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ঢল্লাপাড়া এলাকা পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া নোহারী মন্ডল পাড়ায় ব্যাপক ভাঙনে লঞ্চ ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয় পানির তীব্র স্রোতের। এতে লঞ্চ ঘাটের লঞ্চ চলাচলে বিঘœ ঘটে। অপরদিকে ১ নং ফেরী ঘাটের পন্টুন পানিতে তলিয়ে গেলে দৌলতদিয়ার বিআইডব্লিটিসি কর্তৃপক্ষ ঘাটটি গত সোমবার থেকে বন্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে তারা ঘাটটি সচল করার চেষ্টা করছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার নূরুল আনোয়ার মিলন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘাট এলাকায় তীব্র স্রোতের বিপরীতে লঞ্চগুলো চলতে না পারায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বিকাল ৫টার দিকে স্রোতের বেগ করলে আবার চালু করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ১ নং ফেরী ঘাটে পানির তীব্র স্রোতের কারণে ফেরী ভিড়তে না পারায় গত সোমবার থেকে ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ১৩টি ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।