শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করা গেল না মহাদেবপুর প্রাইমারী স্কুলের টিনসেট ঘর

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

॥শিহাবুর রহমান॥ গত কয়েক দিন ধরে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলেও পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা যায়নি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহাদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পাকা টিনসেট ঘর। রাতে স্কুলটির পাকা টিনসেট ঘরটির কিছু অংশ দেবে নদী গর্ভে চলে যায়। গতকাল ২৬শে সেপ্টেম্বর সকাল থেকে পুরোদমে সেখানে জিও ব্যাগ ফেলে স্কুলটির রক্ষার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেদায়েতুর ইসলাম জানান, স্কুলটির দুইটি ঘর রয়েছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদীর তীব্র ¯্রােত ও ভাঙনে পাকা টিন সেট ঘরটির কিছু অংশ দেবে যায়। পরে আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানাই। রাতে বালু না পাওয়ায় সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে স্কুলটি রক্ষার চেষ্টা করছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কৃষ্ণেন্দু বিকাশ সরকার জানান, স্কুলটি রক্ষার জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নদীর পাড়ে জিও ব্যাগ ফেলে গাইড ওয়াল করা হচ্ছিল। তা স্বত্ত্বেও রাতে পাকা টিনসেট ঘরটির অর্ধেকাংশ দেবে যায়। আজ ভোর থেকে সেখানে আরো জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। যাতে স্কুলটি রক্ষা করা যায়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে ৬০মিটার এলাকা জুড়ে ৫হাজার ২শত জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর পদ্মা নদীতে ভাঙন শুরু হলে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভাঙন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে কোটি কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। জিও ব্যাগ ফেলার কারণে সাময়িকভাবে ভাঙন রক্ষা হলেও পরবর্তী বছরে পুনরায় সেখানে ভাঙন শুরু হয়। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা পদ্মার জলে ভেসে যায়। পক্ষান্তরে শুকনো মৌসুমে যদি পরিকল্পিতভাবে জিও ব্যাগ ফেলানো হতো তাহলে নদী পাড়ের মানুষ ভাঙন থেকে রক্ষা পেত এবং সেই সাথে সরকারী অর্থ অপচয় বন্ধ হতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!