॥চঞ্চল সরদার॥ রাজবাড়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর একদল ছাত্রী গতকাল ২৫শে সেপ্টেম্বর সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নে অবস্থিত ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনকালে তারা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা গিয়াসপুরীর মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে আবেগাপ্লুত হয়। শিক্ষার্থীরা জাদুঘরে পৌঁছালে গোলাম মোস্তাফা গিয়াসপুরী তাদেরকে জাদুঘরটি ঘুরিয়ে দেখান। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু গ্যালারী, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী হেদায়েত হোসেন গ্যালারী, সংসদ সদস্য ভাষা সৈনিক ওয়াজেদ চৌধুরী, সাময়িক শাসন বিরোধী গ্যালারী, ১৯৯৬ সালের গণঅভ্যুথান, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস, শহীদ আব্দুল আজিজ গ্যালারী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গ্যালারীগুলোর ছবি দেখিয়ে ছাত্রীদের সে সম্পর্কে অবহিত করেন। শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা দিয়াসপুরীর কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করে এবং তিনি সেই সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়াসহ তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তাফা গিয়াসপুরী বলেন, আমার তেমন কিছু চাওয়া-পাওয়ার নেই। তবে জাদুঘরটা ছোট হওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সরকারের কাছে আমার চাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘরটি টিকিয়ে রাখার জন্য যেন এখানে একটি ভবন তৈরী করা হয়। তাহলে এখানে আরো বেশী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করা যাবে। শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরও অনেক বেশী জানতে পারবে।
রাজবাড়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমরেশ চন্দ্র বিশ^াস বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধার মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এই মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষণ জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা গিয়াসপুরীর মুখ থেকে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার ব্যবস্থা করা হয়।