॥রফিকুল ইসলাম॥ ফেরী সংকটের কারণে গতকাল ২৩শে সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৫শতাধিক যানবাহনকে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও নদী পার হতে পারছে না। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরী সংকট ও পদ্মা নদীর পানির বৃদ্ধি সাথে স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় যানবহন পারাপারে দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনা থেকে সিলেটগামী ব্যাটারী ভর্তি একটি ট্রাকের (খুলনা মেট্রো-উ-১১-০২২৮) চালক শহিদুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটের ১২/১৩ কিলোমিটার দূরের গোয়ালন্দ মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ ট্রাক আটক করে রাখে। ঘাটের যানজট হ্রাস পেলে ট্রাকগুলো ছেড়ে দেয়।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মিঠুন জানান, সিরিয়াল দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যে সকল যানবহন নির্দেশ অমান্য করে উল্টাপথে পারাপার হওয়ার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র পাটুরিয়া ভাসমান কারখানার নির্বাহী প্রকৌশলী স্বদেশ প্রসাদ মন্ডল জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১২টি ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় কাবেরী ও চন্দ্রমল্লিকা নামের ২টি ফেরীর মেরামত কাজ চলছে। পদ্মা নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্ধ্যা-মালতি নামের ছোট একটি ফেরীর চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আমানত শাহ ও হাসনা হেনা নামের ২টি ফেরীকে মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।