॥স্টাফ রিপোর্টার॥ স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুক মামলায় স্বামী লিয়াকত আলী নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক ওয়ারলেস অপারেটরকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। গতকাল ২২শে সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর ১নং আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসান খায়রুল্লাহ তার জামিন না মঞ্জুর করে এ নির্দেশনা দেন।
লিয়াকত আলী কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি রাজবাড়ী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ওয়ারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ৪ঠা জানুয়ারী লিয়াকত আলী মুন্নিজান খাতুন নামে এক প্রতিবেশীকে বিয়ে করেন। উভয়ের বাড়ী পাশাপাশি হওয়ায় তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্ক স্থায়ীভাবে রুপ দেয়ার জন্যই তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ গ্রামে কাজী তোফাজ্জেল হোসেনের বাড়ীতে ভাড়া থাকতো। এর কিছুদিন যেতে না যেতেই লিয়াকত তার স্ত্রীর কাছে ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। এতে সে অস্বীকার করায় ঘটনার ১৫দিন আগে লিয়াকত গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। পরে গত ২৯শে মার্চ সকালে লিয়াকত বানীবহে তার ভাড়া বাসায় আসেন এবং স্ত্রীর কাছে বাবার বাড়ী থেকে ৫লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। আর তা না হলে তিনি স্ত্রী মুন্নিজানকে তালাক দিয়ে অন্যত্র যৌতুক নিয়ে আবার বিয়ে করবেন বলে জানান। কিন্তু মুন্নিজান এতো টাকা বাবার বাড়ী থেকে এনে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানালে সে ওই বাড়ী থেকে চলে আসেন।
এ ঘটনার পর তার স্ত্রী মুন্নিজান গত ৩১শে মার্চ রাজবাড়ীর ১নং আমলী আদালতে লিয়াকত আলীকে আসামী করে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলা দায়ের পর লিয়াকত আলী আপোষ সূত্রে আদালত থেকে জামিন নেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি স্ত্রীর সাথে আর আপোষ করেননি। গতকাল ২২শে সেপ্টেম্বর ওই মামলার শুনানীর দিন ধার্য্য ছিল। সে কারণে লিয়াকত আলী আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিনের প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।