॥মইনুল হক মৃধা॥ গোয়ালন্দ উপজেলার পূর্ব উজানচর বকারটিলা গ্রামের বাসিন্দা অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধী মোস্তফা শেখকে সামাজিক সংগঠন প্র্রবাসী ফোরামের পক্ষ থেকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে।
গোয়ালন্দের সন্তান যারা বিদেশে থাকেন তাদের নিয়ে তৈরী সংগঠন প্রবাসী ফোরাম। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অসহায় ওই ব্যক্তিকে উজানর ইউনিয়নের দুর্গম অঞ্চল চর করনেশনা গ্রামের আশ্রিত বাড়িতে গিয়ে হুইল চেয়ারটি প্রদান করা হয়।
এ সময় প্রবাসী ফোরামের পক্ষে নেদারল্যান্ড প্রবাসী কামাল হোসেন, সৌদি আরব প্রবাসী রাকিবুল ইসলাম রুবেল, গোয়ালন্দ প্রপার হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও প্রথম আলো গোয়ালন্দ বন্ধুসভার পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান, হাউলি কেউটিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান মিলন, সাংবাদিক রাশেদ রায়হান, আবুল হোসেন ও বন্ধুসভার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক মৃধা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী মোস্তফা শেখ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে চেয়ে সংসার চালাতো। কিন্তু তার দুটি পা বিকলাঙ্গ থাকায় সহজে চলাচল করতে পারতো না। তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকলেও তার এমন অবস্থার কারণে তাকে ফেলে সবাই অন্যত্র থাকে। বাধ্য হয়ে সে নিজের বকারটিলা গ্রামের বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নেয় ছোট ভাইয়ের বাড়ি দুর্গম অঞ্চল চর করনেশনা এলাকায়। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া সহজে চলাচল করতে পারতো না। গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের কারণে প্রবাসী ফোরামের নজরে আসে তার বিষয়টি। পরবর্তীতে দ্রুত সিদ্ধান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী মোস্তফা শেখের জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়।
হুইল চেয়ারটি পেয়ে তিনি খুবই খুশি হয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি বলেন, আমার দুটি পাই পঙ্গু হওয়ায় সমাজে অনেকের কাছে এমনকি পরিবারের কাছেও আমি অবহেলিত। অন্যের সাহায্য ছাড়া সহজে চলাচল করতে পারতাম না। আমার এ অসহায়ত্বের কথা জেনে প্রবাসী ফোরাম এগিয়ে এসেছে। আল্লাহর কাছে শুধু বলবো তাদেরকে তুমি হেফাজত করে এবং তাদের পরিবারকে তুমি ভাল রেখ।
নেদারল্যান্ড প্রবাসী কামাল হোসেন বলেন, প্রবাসী ফোরাম দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছে। কয়েক জন প্রবাসী ভাইয়ের সহযোগিতায় গত ঈদুল আযহার সময় এক অসহায় পরিবারের চলাচলের জন্য লাখ টাকা মূল্যের গাভি কিনে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এমন অবস্থায় শারীরিক প্রতিবন্ধীর কথা শুনে তাৎক্ষনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে হুইল চেয়ারটি তাকে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।