॥চঞ্চল সরদার॥ পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে রাজবাড়ীর জৌকুড়া-পাবনার নাজিরগঞ্জ নৌ-রুটে গত ২৬শে আগস্ট থেকে ৫দিন ধরে ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে এই নৌ-রুটে চলাচলকারী যানবাহনের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গতকাল ৩০শে আগস্ট দুপুরে সরেজমিনে জৌকুড়া ফেরী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নদী পারাপারের জন্য ছোট-বড় কিছু গাড়ী আসলেও তারা ফেরী বন্ধ পেয়ে ঘুরে চলে যাচ্ছে। যাত্রীদের অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তীব্র স্রোতের মধ্যেই ছোট ছোট ট্রলারে ও লঞ্চে নদী পার হচ্ছে। মোটর সাইকেল ও তিন চাকার অনেক ছোট গাড়ীও ট্রলারে করে নদী পার করা হচ্ছে।
দীপংকর কর্মকার নামের এই রুটের একজন নিয়মিত যাত্রী বলেন, ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হবে। যদি ফেরী থাকতো তাহলে নদী পার হতে কোন চিন্তা করা লাগতো না।
তিনি আরো বলেন, এই রুটে মাত্র ২টি ফেরী চলাচল করে। তাই কখনো সময় মতো ফেরী পাওয়া যায় না। এ জন্য ফেরীর সংখ্যা বাড়ানো হলে ভালো হয়।
তোফাজ্জেল শেখ নামের একজন ট্রলার চালক বলেন, আমাদেরকে এখন নদীতে ট্রলার চালাতেও সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। নাজিরগঞ্জ যেতে স্বাভাবিক সময়ে ৩০ মিনিটের মতো লাগলেও এখন লাগে প্রায় ৫০ মিনিট। আবার আগে যাত্রী নিতাম ৭০-৮০ জন করে, সেখানে এখন নিচ্ছি ৫০ জন করে। যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হচ্ছে।
লঞ্চ চালক মাসুদ আলী খাঁ বলেন, লঞ্চ চলাচলে আমাদের তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। শুধু সময় একটু বেশী লাগছে। ফেরী ব্যবহারকারী যানবাহনগুলোর সমস্যাটা বেশী হচ্ছে।
জৌকুড়া ফেরী ঘাটের ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, তীব্র স্রোতের কারণে এই রুটের ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আশা করছি, স্রোত কমে গেলে আগামী রবিবার থেকে ফেরী চলাচল করবে। যে যাত্রীরা এখানে আসছে তারা ট্রলারে ও লঞ্চে করে নদী পার হচ্ছে।
ফেরী ঘাটের ইজাদার মোস্তাফিজুর রহমান শরীফ বলেন, স্রোতের বিপরীতে ফেরী চলাচল করতে পারছে না। তাই ২৬শে আগস্ট থেকে ফেরী চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নদীর স্রোত কমতে শুরু করেছে। আশা করছি, আগামী রবিবার থেকে ফেরী চালু করতে পারবো।