॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ নতুন করে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গনে গত ৪দিনে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ধল্লাপাড়া ও জলিল মন্ডলের পাড়া এবং দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়াজানি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
গতকাল ২৮শে আগস্ট সকালে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে ২/৩শ’ মিটার দূরের ধল্লাপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা নদী ভাঙ্গন দেখছেন। এ সময় ধল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, গত এক সপ্তাহ যাবৎ এই এলাকায় নতুন করে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কমপক্ষে দুইশত বিঘা ফসলী জমি ও শতাধিক বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও শতাধিক পরিবার তাদের বসতবাড়ী সরিয়ে নিয়েছে। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই লঞ্চ ঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতর আলী সরদার বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ইউনিয়নটি ছোট হয়ে আসছে। এই ইউনিয়নের প্রতি কারো কোন নেক নজর নেই। মানুষের হাহাকার দেখে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনের কাছে বার বার গিয়েছি। আমাদের একটিই চাওয়া, ‘ত্রাণ নয়-নদী শাসন চাই।’
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম শেখ জানান, চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের শুরুতে রাজবাড়ী জেলার ১৯টি পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে কাজ করেছে। নতুন করে গত এক সপ্তাহে ৩০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে জরুরী ভিত্তিতে ওই ২টি ইউনিয়নের জন্য ২টি প্যাকেজে ১২ হাজার ৮শত বস্তা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।