॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার তিন উপজেলার ৪৬জন মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ তাদের সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন না। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে তাদের ভাতা স্থগিত রাখা হয়েছে।
গত ৭ই আগস্ট রাজবাড়ী শহরের রেলগেট এলাকায় অনুষ্ঠিত এক সভায় তারা এই অভিযোগ করেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম কবির, ছবদার হোসেন, সিরাজ মিয়া, খলিলুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, শের আলী, বছির মিয়া এবং আবু সালেক পান্নুসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভাতা স্থগিত হওয়া মুক্তিযোদ্ধাগণ বলেন, ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা যাচাই-বাছাই করা হয়। তবে অনেক উপজেলায় অদ্যাবধি কোন যাচাই-বাছাই করা হয় নাই। সারা দেশে যাচাই-বাছাইয়ের সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। সেই বিতর্কিত যাচাই-বাছাই ধরে অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘না মঞ্জুর তালিকায়’ ফেলা হয়। তারপরও তারা যথারীতি মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পেয়ে আসছিলেন। পরবর্তীতে গত এপ্রিল-২০১৯ থেকে তাদের ভাতা স্থগিত রাখা হয়। গত ২৮শে জুলাই-২০১৯ মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ পত্রের ৪নং পৃষ্ঠার ১৬ নং ক্রমিকে উল্লেখ আছে যে, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তালিকায় নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তি বন্ধ/স্থগিত ভাতা চালুকরণের ক্ষেত্রে পূর্বের গেজেট, সনদ, লাল মুক্তিবার্তা, ভারতীয় তালিকায় যাদের নাম রয়েছে ডবন ঝরঃব-এ তথ্য পরীক্ষা করে ভাতা প্রদান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ডবন ঝরঃব-এ পরীক্ষা না করেই মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ২৯ জন, পাংশা উপজেলার ১৫ জন, গোয়ালন্দ উপজেলার ২ জন ও বালিয়াকান্দি উপজেলার ২১ জন ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম ‘গ’ তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে আপীলে সব তথ্য-প্রমাণ জমা দেয়া হলেও সেই আপীল নিষ্পত্তি না হতেই ভাতা স্থগিত করা হয়। অথচ একই সঙ্গে ‘গ’ তালিকাভুক্ত হওয়া বালিয়াকান্দি উপজেলার ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা তাদের সম্মানী ভাতা পেয়ে আসছেন। এমতাবস্থায় অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্থগিতকৃত ভাতা প্রদান করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সরকারের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।