মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীর শহীদওহাবপুরের ড্রেজার চালক ইলিয়াছকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে শোচ্চার এলাকাবাসী

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের পুলিশ ও র‌্যাবের অভিযানে ধরিয়ে দেওয়ার সহযোগিতা করায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের নিমতলা গ্রামে ইলিয়াছ শেখ(৩২) নামে এক ড্রেজার চালককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গতকাল ২২শে আগস্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন ষড়যন্ত্রের শিকার ইলিয়াছ শেখের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
অভিযোগে প্রকাশ গত ২১শে আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর বাজার এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা ইলিয়াছের মোটর সাইকেলের মিটারের তারের সাথে কসটেপ দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ইয়াবাসহ তাকে আটক করে। আটক ইলিয়াছ সেখ শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের নিমতলা গ্রামের সহিদ শেখের ছেলে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ইলিয়াছ সেখ মাটি কাটা ড্রেজার চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আমিন শেখ, জসিম মোল্লা, রুবেল বেপারীসহ ৪/৫জনকে পুলিশ ও র‌্যাবের মাধ্যমে ধরিয়ে দেন। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা জামিনে বের হয়ে এসে বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয়ভীতি, মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো। এ ঘটনায় ইলিয়াছ গত ১৭ই আগস্ট খানখানাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। এসব ব্যাপারে উল্লেখিতরা ইলিয়াছের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। গত ২১শে আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসন্তপুর স্টেশন বাজারে রেল ক্রসিং এলাকায় দর্জির দোকানের সামনে থেকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা ইলিয়াছের দেহ তল্লাশী করে কিছু না পেলেও সেখানে থাকা তার মোটর সাইকেলের মিটারের তারের সাথে কসটেপ দিয়ে বাধারত অবস্থায় একটি প্যাকেট উদ্ধার করে। এরপর মাদকদ্রব্যের সদস্যরা ওই প্যাকেটে ইয়াবা আছে বলে ইলিয়াছকে আটক নিয়ে আসে। পর দিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২০পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মাদক আইনে মামলা করে ইলিয়াছকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরিবারের লোকজনের ধারণা উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ওই দিন পূর্ব থেকেই ইলিয়াছের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের তেল সরবরাহ পাইপের সাথে ইয়াবা বেধে রাখে। পরে সন্ধ্যার পর বসন্তপুর স্টেশন বাজারে রেল ক্রসিং এর সামনে দর্জির দোকানের সামনে থেকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মোটর সাইকেল থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার ও ইলিয়াছকে আটক করে।
মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী বসন্তপুর বাজারের ট্রেইলার্সের দোকানী রেজাউল প্রামানিক বলেন, সন্ধ্যার পর ইলিয়াস আমার দোকানে একটি কাজের জন্য আসেন। এ সময় তিনি তার মোটর সাইকেলটি আমার দোকানের সামনে দাড় করিয়ে দোকানের ভিতরে বসে কথা বলছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন লোক এসে ইলিয়াসকে ধরে পুরো শরীর তল্লাশী করে। কিন্তু তারা কিছু পায় না। পরে ইলিয়াসের মোটর সাইকেলের মাইল মিটারের তারের সাথে টেপ দিঁয়ে পেচানো অবস্থায় তারা একটি প্যাকেট উদ্ধার করে। এরপর তারা একটি সাদা কাগজে আমাকে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি ভয়ে কাগজে স্বাক্ষর করে দেই। ইলিয়াসের মোটর সাইকেলে থেকে যে প্যাকেট উদ্ধার করেছে সেই প্যাকেটে কি আছে তা তারা আমাকে দেখায়নি।
মামলার দুই নম্বর ও তিন নম্বর স্বাক্ষী ওষুধের দোকানী আবুল কালাম আজাদ ও ফার্নিচার দোকানী হাকাম সেক বলেন, ইলিয়াসকে যখন তল্লাশী করা হয় তখন আমরা বাজারের প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ইলিয়াসের কাছে তারা কোন ইয়াবা বা প্যাকেট পায়নি। কিন্তু ইলিয়াসের মোটর সাইকেলের মাইল মিটারের তারের সাথে টেপ দিঁয়ে পেচানো অবস্থায় তারা একটি প্যাকেট উদ্ধার করে। প্যাকেটের ভিতর কি আছে তা তারা আমাদের দেখায়নি। আমাদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করার জন্য তারা জোরাজুরি করলে আমরা স্বাক্ষর করতে বাধ্য হই।
তারা আরও বলেন, আমাদের জানা মতে ইলিয়াস একজন ভালো ছেলে। সে মাটি কাটা ড্রেজারের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে। সে যে ইয়াবার ব্যবসা করতে পারে তা আমাদের বিশ^াস হয়না। আমাদের ধারণা সে কোন ষড়যন্ত্রের শিকার।
এ ব্যাপারে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ইয়াবাগুলো মোটর সাইকেল থেকে নয় ইলিয়াছের দেহ তল্লাশী করে উদ্ধার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!