॥এম.এইচ আক্কাছ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে আসা যানবাহনগুলোর কিছুটা সিরিয়াল থাকলেও জনদুর্ভোগ অনেকটাই কমে এসেছে।
নদীতে ত কম থাকা, নৌ-রুটের সবগুলো ফেরী সচল থাকা ছাড়াও প্রশাসনের কড়া নজরদারীর ফলে ঈদ পরবর্তী ঘাটের পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষ প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে ফিরছে। রবিবার থেকে পুরোদমে সরকারী-বেসরকারী অফিসগুলো চালু হওয়ায় এদিনও দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মস্থলমুখী মানুষের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। এ অবস্থায় দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের কিছুটা সিরিয়াল থাকলেও এই নৌ-রুটের সবগুলো ফেরী চালু থাকায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই গাড়ীগুলো নদী পার হতে পারছে। ফলে কর্মস্থলমুখী মানুষকে তেমন একটা দুর্র্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না। এর ফলে যানবাহনের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীরা অনেকটা স্বস্তিতেই রয়েছে।
গতকাল ১৮ই আগস্ট সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গাড়ীর চাপ থাকলেও নদী পার হওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হচ্ছে না। নদীতে ¯্রােত কম থাকায় ফেরীগুলোর নদী পার হতে আগের মতো অতিরিক্ত সময় লাগছে না। সিরিয়ালে আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রীরা কিছুরা দুর্ভোগ পোহালেও তা বেশীক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না। তাড়াতাড়িই তারা ফেরীতে উঠে নদী পার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
তবে যানবাহনের চাপ অপেক্ষাকৃত কম থাকা সত্ত্বেও শত শত ব্যক্তিগত গাড়ি, অটো রিক্সা, মাহেন্দ্রর মতো ছোট ছোট যানবাহনগুলোকে গোয়ালন্দ বাজার পদ্মা মোড় থেকে পূর্ব উজানচর ও চর দৌলতদিয়ার বিকল্প সরু সড়ক দিয়ে অন্তত ৮কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরিয়ে ঘাটে পৌঁছাতে বাধ্য করা হয়। এতে ওই সকল ছোট গাড়ীগুলোর যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করা হয়।
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, মহাসড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় ট্রাফিক পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। ফলে কোন দুর্ভোগ ছাড়াই যাত্রী ও যানবাহনগুলো দ্রুত লঞ্চ-ফেরীতে উঠতে পারছে। তবে মহাসড়কের উপর চাপ কমাতে পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছোট গাড়ীগুলোকে বিকল্প সড়ক দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে। যানবাহনের চাপ কমে আসলে সেগুলোকে আগের মতো চলাচল করতে দেয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ্ বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের তেমন কোন চাপ নেই। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেরীগুলো যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে তৎক্ষণাৎ ছেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বেশীর ভাগ ফেরীই অনেকটা ফাঁকা যাচ্ছে। তাছাড়া নদীতে ¯্রােত কম থাকায় নদী পার হতে ফেরীগুলোর অতিরিক্ত সময় লাগছে না। রুটের সবগুলো ফেরী চালু থাকায় ঈদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে তাদের তেমন একটা বেগ পেতে হচ্ছে না।