॥স্টাফ রিপোর্টার॥ আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।
কথিত ভিআইপি প্রথা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান,পিপিএম(বার)। এখন থেকে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত(এসি) বাসসহ অন্যান্য গাড়ি আগে ফেরীতে উঠবে না।
গতকাল ৭ই আগস্ট দুপুরে ঈদুল আযহা উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাটে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশনাকালে পুলিশ সুপার এ কথা বলেন।
এর আগে তিনি গত ১৭ই জুলাই রাজবাড়ীতে যোগদানের পরদিন ১৮ই জুলাই তার প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়কালে তিনি দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে কথিত ভিআইপি প্রথা ব্যবস্থা বন্ধ করার ঘোষণা দেন।
এছাড়াও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে দৌলতদিয়া ঘাটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা(সিসি ক্যামেরা) বসানো হয়। সিসি ক্যামেরার কার্যক্রম গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি উদ্বোধন করেন।
দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পর পর্যন্ত সাধারণ পন্যবাহি ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে। এখন থেকে পশুবাহী গাড়ি বা কোরবানীর পশুবাহী ট্রাক সরাসরি ফেরীতে উঠবে। এছাড়া এসি বাসসহ অন্যান্য গাড়ি যথারীতি সিরিয়াল দিয়েই ফেরীতে উঠবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার বলেন, এখন থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে কাউন্টারের সামনে যাত্রী ভাড়া টানানো থাকবে। দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে বাস ও মাহেন্দ্র ভাড়া চার্ট আকারে টানিয়ে দেওয়া হবে। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৌসুম ভিত্তিক বাস কাউন্টার আর বসতে দেওয়া হবে না বলে জানান।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) মোঃ সালাহ্ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম, ডিআইও ওয়ান মির্জা আবুল কালাম আজাদ, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবুল হোসেন, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ রবিউল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাটে কোরবানীর পশুবাহী গাড়ি ও যাত্রীবাহি এসিসহ সাধারণ গাড়ির লাইন দেখা যায়। ফেরী ঘাট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের তিন কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন থাকতে দেখা যায়। দুই লাইনে অন্তত চারশত গাড়ি আটকে থাকে। এসব গাড়ি এক থেকে দুই ঘন্টা লাইনে আটকে থাকতে দেখা যায়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমানে ১৮টি ফেরী চলছে। ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আরো দুটি ফেরী যুক্ত হয়ে মোট ২০টি ফেরী চলাচল করবে। বর্তমানে কোরবানীর পশুবাহী গাড়ির চাপ পড়তে শুরু করায় সব মিলে যানবাহনের কিছু চাপ রয়েছে।