॥হেলাল মাহমুদ॥ ভিজিএফ কার্ড বিতরণে অনিয়মসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চেয়ারম্যান কর্তৃক বৈষম্যের বিষয়ে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করায় গতকাল ৬ই আগস্ট প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিটে আহত যশাই ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার সহিদ মন্ডল(৪৮) এবং ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ দরুদ আলী প্রামানিক(৫০) আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সহিদ মন্ডল পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নে সহিদ মেম্বারসহ কয়েকজন ইউপি মেম্বার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ৫ই আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সাথে মেম্বারদের সমন্বয়ের জন্য যশাই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। তিনি সেখানে পৌছার আগেই সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে সহিদ মন্ডল ও দরুদ আলী প্রামানিক মেম্বারসহ কয়েকজন ইউপি মেম্বার তাদের ওয়ার্ডে দুঃস্থ লোকজনের মাঝে ভিজিএফ কার্ড বিতরণসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে চেয়ারম্যান কর্তৃক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে ধরলে দু’পক্ষের মধ্যে এসব নিয়ে বাকবিতন্ডা ও গোলযোগ সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে ৪০৮টি কার্ডের ভিজিএফ চাল বিতরণের পর ইউএনও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করে ইউনিয়ন পরিষদ ত্যাগ করে পাংশায় চলে যান।
তিনি চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলার শিকার হন ইউপি মেম্বার সহিদ মন্ডল ও দরুদ আলী প্রামানিক।
পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সহিদ মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, তিনিসহ কয়েকজন মেম্বার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ায় চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। সে কারণে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে জামাল প্রামানিক ও সবুর ওরফে বিদু মন্ডলসহ ১০/১২জনের একটি দল সন্ত্রাসী তার উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। চেয়ার দিয়ে আঘাত করা ও কিল-ঘুষি মারার ফলে সহিদ মেম্বারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা-জখম হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সহিদ মেম্বারের উপর হামলার ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন। এছাড়াও তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, যশাই ইউপিতে সুবিধাভোগী ১হাজার ১১২টি ভিজিএফ’র কার্ডের মধ্যে আংশিক ৪০৮টি কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মেম্বারদের অভিযোগ খদিয়ে দেখা হবে।