শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন
Logo
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আইসোলেশন মেয়াদ অর্ধেক করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিন গুণের বেশী পুনঃ সংক্রমন ঘটাতে পারে : গবেষণা প্রতিবেদন জাতিসংঘ ভবনের বাইরে এক বন্দুকধারী গ্রেফতার শান্তি চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে কলম্বিয়া সফর জাতিসংঘ মহাসচিব সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণের সাক্ষাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রিয়ায় লকডাউন করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ ভারতে নতুন করে ১০ হাজার ৩০২ জন করোনায় আক্রান্ত নভেম্বর মাসজুড়ে করাঞ্চলে কর মেলার সেবা পাবেন করদাতারা ঔপনিবেশিক আমলের ফৌজদারী কার্যবিধি যুগোপযোগী হচ্ছে

রাজবাড়ীর বিভিন্ন খামারে কোরবানীর পশু প্রস্তুত॥তবে এবার বেচাকেনা কম

  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯

॥চঞ্চল সরদার॥ পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলায় প্রায় ৮০ হাজার গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করেছে খামারীরা।
তবে তারা জানিয়েছে বর্তমানে বেচাকেনা কম হচ্ছে। মানুষ গরু দেখতে আসছে, কিন্তু কিনছে না। আবার দামও কম বলছে। তবে তাদের আশা, ঈদের ২-৩ দিন আগে থেকে কোরবানীর পশু বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে। দামও ভালো পাওয়া যাবে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের নাওডুবি গ্রামের খামারী মাফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার খামারে ১১টি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। এই মোটাতাজাকরণে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়েছে চালের কুড়া, গমের ভুষি, ভুট্টা, খড় ও কাঁচা ঘাস। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি গরুও বিক্রি করতে পারি নাই। বর্তমানে বেচাকেনা কম। ঈদের ২/৩ দিন আগে বিক্রি বাড়তে পারে। গত বছরের চেয়ে এবার গরুর খাদ্যর দাম বেশী ছিল। তাই যদি ২০ হাজার টাকার উপরে প্রতি মণ হিসেবে গরু বিক্রি করতে পারি তাহলে আমাদের লাভ হবে। আমি মনে করি, আমাদের দেশে যে গরু আছে তা কোরবানীর ঈদের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। খামারীদের পথে বসানোর জন্য বাইরে থেকে গরু আনার কোন দরকার নাই।’
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফজলুল হক সরদার বলেন, আমরা বছরের প্রথম থেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে গরুকে কীভাবে মেটাতাজা করা যায় সেই বিষয়ে খামারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এখন আমাদের কোরবানীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু রয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি হাটে আমাদের ভেটেরিনারী টিম রাখছি, যাতে মানুষ সুস্থ-সবল গরু কিনতে পারে। এছাড়া পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে প্রায় ৮০ হাজার বিক্রিযোগ্য কোরবানীর পশু রয়েছে। এটা রাজবাড়ীর চাহিদা মিটিয়ে রাজবাড়ীর বাইরেও যাবে। যেসব গরু মোটাতাজা করা হয়েছে তার মধ্যে দেশী ও শংকর জাতের গরু বেশী। এছাড়াও এবার জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২৯টি কোরবানী পশুর হাট বসবে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৭টি, গোয়ালন্দে ২টি, বালিয়াকান্দিতে ১০টি, পাংশায় ৭টি ও কালুখালী উপজেলায় ৩টি পশুর হাট বসবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
error: আপনি নিউজ চুরি করছেন, চুরি করতে পারবেন না !!!!!!