॥তনু সিকদার সবুজ॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি-চরআড়কান্দি বদ্ধ জলমহালে পাট জাগ দেয়ায় চাষ করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
জল মহালটির ইজারাদারদের দাবী, এতে তাদের ১০/১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া মাছ মেরে লুটপাট করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন।
গতকাল ৩রা আগস্ট সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জল মহালের মধ্যে জামালপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা সারিবদ্ধ করে পাট জাগ দিয়েছে। এই পাট জাগ দেয়ার ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে জলমহালে চাষ করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
জল মহালটির ইজারাদার দারচী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আখের আলী মন্ডল বলেন, তিন বছরের জন্য(২০১৯-২০২১) জলমহালটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতি বছরের জন্য ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি। ইজারা নেয়ার পর এখানে ১৫ লক্ষ টাকার মাছ ছেড়েছি। যারা পাট জাগ দিয়েছে তাদেরকে নদীর পাশের ইউনিটের কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে জোর করে এখানেই পাট জাগ দিয়েছে। শুধু তাই না, পাট জাগ দিতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এখান থেকে প্রায়ই মাছ মেরে লুটপাট করছে।
পাট জাগ দেয়া শ্রীরামপুর গ্রামের আনোয়ার ফকীর বলেন, আমরা পাট জাগ দিয়েছি সত্য। তবে মাছ মরে যাবে, এটা বুঝতে পারি নাই। তিনি মাছ মেরে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা(অঃ দাঃ) রবিউল হক বলেন, জল মহালটির মধ্যে অতিরিক্ত পাট জাগ দেয়ার ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে মাছ মরে গেছে। তবে অল্প অল্প করে পাট জাগ দিলে পানি বিষাক্ত হতো না। তিনি জল মহালটিতে স্যালো মেশিন দিয়ে দ্রুত পানি দেয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, তাহলে হয়তো কিছুটা ক্ষতি কমতে পারে।