॥মাহফুজুর রহমান॥ আসন্ন ঈদুল আযহার উপলক্ষে দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ২৮শে জুলাই বিকালে কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে সভায় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান,পিপিএম(বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) আলমগীর হুছাইন, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াৎ শিপলু, বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ এজাজ শফী, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান হাসান ও লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী তার বক্তব্যে বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র ¯্রােতের কারণে ফেরীগুলো স্বাভাবিক সময়ের মতো চলতে না পেরে ধীর গতিতে চলছে। এর পাশাপাশি ফেরীর স্বল্পতাও রয়েছে। তাই এই নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরীর ব্যবস্থা করতে হবে। রাজবাড়ী শহরের বড়পুল থেকে মুরগীর ফার্ম পর্যন্ত রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। লঞ্চগুলো যেন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভরা পদ্মা নদী পার হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান,পিপিএম(বার) বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে কোন বাস ভিআইপি থাকবে না। এসিবাস নিয়ম অনুযায়ী পারাপার হবে। যে আগে আসবে সেই আগে ফেরীর দেখা পাবে। কোরবানীর গরুবাহী গাড়ীগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হবে। ঈদুল আযহার সময় দৌলতদিয়া ঘাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ৩শতাধিক পুলিশ নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের প্রতিটি লঞ্চের যাত্রী ধারণ ক্ষমতার ব্যানার থাকলে ভালো হবে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ্ জানান, ঈদের ৭দিন আগে থেকে বড়, মাঝারী ও ছোট মিলিয়ে ২১টি ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। দৌলতদিয়ার ৬টি ফেরী ঘাটই সচল থাকবে। এর মধ্যে ৫ ও ৬নং ফেরী ঘাট দিয়ে শুধু ছোট যানবাহন(মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার) নদী পারের জন্য ফেরীতে উঠবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী জানান, ঈদের সময়ে ৩৩টি লঞ্চ যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত থাকবে।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ জানান, যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়া তালিকা প্রদর্শন করা হবে। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত বাসের ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হবে।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার সড়ক সংস্কার, ৬টি ফেরী ঘাটই সচল রাখা, বাসের কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন, যানবাহন পারাপারের জন্য পর্যাপ্ত ফেরীর ব্যবস্থা, কোরবানীর পশুবাহী গাড়ীগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার এবং বাস-মাহেন্দ্র-থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। ঈদের আগে ও পরের ৩দিন দৌলতদিয়া দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়াও ঘাট এলাকায় জেলা প্রশাসনের হেল্প ডেস্ক ও মেডিকেল টিম থাকবে।
উল্লেখ্য, এরআগে একই স্থানে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।