॥ইউসুফ মিয়া/কবির হোসেন॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বলিতা স্লুইচ গেইট সংলগ্ন বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকায় পদ্মা নদীর শহর রক্ষা প্রকল্পের ৭৫মিটার সিসি ব্লকের পাড় ধ্বসে আড়াই কোটি টাকা ক্ষতি সাধনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মুরাদ সরদার(৩০) নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত ১১ই মার্চ দিনগত গভীর রাতে নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে লক্ষীকোল গ্রামের আরশাদের ছেলে।
জানাযায়, গ্রেফতারকৃত মুরাদসহ এ মামলার অন্যান্য আসামীরা পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার স্থাপন করে বালু উত্তোলন করে বলিতা বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশে নদীর পাড়েই স্তুপ করে ব্যবসা করতো। সেখান থেকে ট্রাকে লোড দিয়ে বিক্রি করা হতো বালুগুলো। একদিকে লোড ট্রাকের চাপ ও অন্য দিকে বালু থেকে পানি ঝরে নদীতে পড়ায় সিসি ব্লকের নিচের বালু গুলো সড়ে যায়। ফলে গত ৬ই জানুয়ারী ভোরের দিকে বিশাল অংশ নিয়ে সিসি ব্লকের নদীর পাড় ধসে নদী গর্ভে চলে যায়। এতে আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
এ ঘটনায় গত ৮ই ফেব্র“য়ারী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজবাড়ীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৫(১)/১৫(৩)/১৬(২) ধারায় রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উড়াকান্দা এলাকার মৃত তারক আলীর ছেলে কুদ্দুস(৩৮), লক্ষীকোল গ্রামের মৃত গেদন চৌকিদারের ছেলে সোহাগ(৩০) ও একই গ্রামের আরশাদের ছেলে মুরাদ (৩০)সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করা হয়।
অপরদিকে রাজবাড়ী শহরের লক্ষ্মীকোল রাজার বাড়ী এলাকার আতিকুর রহমান ফরিদের লীজ নেওয়া ২টি পুকুরে গত ১৩ই ডিসেম্বর রাতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে। এতে পুকুর ২টির সব মাছ মরে ভেসে ওঠে। ওই ঘটনায় আতিকুর রহমান ফরিদ বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত গেদন চৌকিদারের ছেলে সোহেল(৩০)সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০জনকে সন্দেহভাজন আসামী করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা নং-২৪, তাং-১৫/১২/১৬ ইং, ধারাঃ ৩২৮/৪২৭ দঃ বিঃ দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই জাহিদুল ইসলাম গত ১১ই মার্চ রাতে সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে নিজ বাড়ী থেকে মুরাদ সরদারকে গ্রেফতার করেন। গতকাল ১২ই মার্চ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পদ্মা নদীর পাড় ধ্বসে আড়াই কোটি টাকার ক্ষতির মামলায় মুরাদ গ্রেপ্তার
